নিউজ ডেস্ক , ২০ জানুয়ারী : জুনিয়ার থেকে হাইস্কুলে উন্নীত হলেও স্কুলের পরিকাঠামোর কোনো পরিবর্তন হয়নি। যার জেরে চরম সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছে স্কুলের পঠনপাঠন ব্যবস্থা। হেমতাবাদ ব্লকের বাঙ্গালবাড়ি অঞ্চলের গুঠিন হাইস্কুল থেকে উঠে এল এমনই চিত্র।
২০১০ সালে জুনিয়ার হাইস্কুল হিসেবে পথচলা শুরু হলেও ২০২১ সালে তা হাইস্কুল রুপে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে এই স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩শো। ৬টি ক্লাসের জন্য ৫ টি ঘর রয়েছে। একই ঘরে চলছে ২টি ক্লাসের পড়াশোনা। একজন শিক্ষক একই ঘরে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেনীর পড়ুয়াদের পড়াচ্ছেন। ফলে অসুবিধের মধ্যে পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদেরও। ক্লাসঘরের সমস্যার কারনে একই বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসছে পড়ুয়ারা। এমনি সময় যেমন তেমন গরমকালে অবস্থা শোচনীয় হয়ে পরে। ফলে ঠিকমত পড়া বুঝতেও অসুবিধের সৃষ্টি হয়। ক্লাসঘরের সমস্যার পাশাপাশি রয়েছে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবও।
স্থায়ী ও অতিথি শিক্ষক মিলিয়ে এই স্কুলে রয়েছেন মাত্র ৫ জন শিক্ষক। ফলে ক্লাস অনুযায়ী শিক্ষকের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় বেগ পেতে হয় কর্তৃপক্ষকে। অবিলম্বে এই স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবীতে সরব হয়েছেন অভিভাবকরা। সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনন্ত রায়। তিনি বলেন, চরম সমস্যার মধ্যেও নিরুপায় হয়ে ক্লাস চালাতে হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য ডিআই মারফত উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে দাবী তার।
অন্যদিকে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে বেড়িয়ে এই স্কুল পরিদর্শনে আসেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সভাধিপতি জানান, সরকারি ভাবে এই স্কুলে সীমানা প্রাচীর, কমিউনিটি টয়লেট, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বর্তমানে যে সমস্যা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সভাধিপতি। এখন কতদিনে স্কুলের এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসে সেটাই দেখার।