নিউজ ডেস্ক , ২৪ ফেব্রুয়ারি : পশুদের নিরাপত্তা দানে প্রাণীসুরক্ষা আইনের সংশোধনী বিল কিছুদিন আগেই পাশ হয়েছে পার্লামেন্টে। এই সংশোধনী বিল অনুসারে এখন থেকে পশুদের ওপর অত্যাচারের জন্য ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
তবে এই আইনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি দেখা গেল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যানিমেল প্রোটেকশন অর্গানাইজেশনের সাম্প্রতিক করা সমীক্ষায়।২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই দশবছর ওপর প্রাণিদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে এক সমীক্ষা করেছে সংস্থাটি।বিগত দশ বছরে ভারতে প্রায় ৫ লক্ষ প্রাণী হিংসার ঘটনা ঘটেছে।শুধুমাত্র ২০২০ সালে প্রায় আড়াই হাজার মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।পথ পশু, গৃহপালিত পশু ও বন্যপশুরাও হিংসার হাত থেকে রক্ষা পায়নি। তবে এই প্রথম পশুদের ওপর পাশবিক অত্যাচারের বিষয়ে এক তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা হয়েছে। আর এই তথ্যগুলি দেখেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।হত্যা থেকে শুরু করে মারধর, নৃশংসতা, ধর্ষণ কোনো কিছুই বাদ যায়নি প্রাণী-হিংসার থেকে।প্রতিদিন গড়ে ৫০টি করে প্রাণী মারা যায় হিংসার শিকার হয়ে। তবে বাস্তবে এর সংখ্যা এর দশগুণ। অর্থাৎ দিনে প্রায় ৫০০টি প্রাণী বা ঘণ্টায় ২১টি প্রাণী মারা যাচ্ছে সভ্যদের অত্যাচারে।প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সর্বাধিক সংখ্যক মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। আড়াইশোর বেশি মামলা করেছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরাও। তবে আরও ভয়াবহ বিষয় হল প্রতি হাজারটি ঘটনার মধ্যে ২০টির পিছনে দায়ী রয়েছে শিশুরা। এই মানসিকতাই পরবর্তীকালে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী প্রস্তুত করা হচ্ছে গ্রেড।তবে পশুদের ওপর অত্যাচারের প্রবণতা কমাতে পশু মন্ত্রালয়ের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সচেতনতামূলক কর্মসুচিও।