নিউজ ডেস্ক, ০৯ নভেম্বর : করোনা আবহের মধ্যে তিন দফায় বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বিহারে৷ মঙ্গলবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই গোটা রাজ্য জুড়ে এখন টানটান উত্তেজনা।
কে বসবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। পুনরায় তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নাকি তরুণ তুর্কি লালুপুত্র তেজস্বী কে বসবেন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে তা নিয়ে জোরদার আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বুথ ফেরত সমীক্ষার যে চিত্র সামনে এসেছে তাতে এগিয়ে রয়েছে আর জে ডি-কংগ্রেস মহাজোট শিবির। নীতীশ কুমারের জেডিইউ বিজেপির এন ডি এ-র মহাজোটের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে আরজেডি কংগ্রেস মহাজোটের। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত৷ পাশাপাশি বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব আগামীতে জাতীয় রাজনীতির সমীকরণ বদলে দেওয়ার পাশাপাশি সামনের বছর অনুষ্ঠিত হতে চলা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। কারণ করোনা আবহে বিহারই প্রথম, যে রাজ্যে তিন দফায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। বিহারে এনডিএ শিবির তথা বিজেপি ধাক্কা খেলে এরাজ্যে তৃণমূল যে উৎসাহিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই৷ কারণ সম্প্রতি ২ দিনের সফরে এসে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০ আসনে জয়লাভ করবে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ স্বাভাবিকভাবেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এন ডি এ শিবির পরাজিত হলে এরাজ্যেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর সেকারণেই বিহার বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার একদিন আগে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জে.পি নাড্ডার তলব পেয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়৷ তৃণমূলকে হঠাতে কী রণনীতি তৈরি করে বিজেপি এখন সেটাই দেখার৷