নিজস্ব সংবাদদাতা , করনদিঘি , ০৩ নভেম্বর : করোনা আবহেই দূর্গা পূজার রেশ কাটতে না কটতেই দশমীর আট দিন পর থেকেই আবার দূর্গা পূজায় মেতে উঠলো গ্রামবাসিরা। দূর্গা পূজার পরের মঙ্গলবার দেবীর বোধন দিয়ে এই পূজা শুরু হল সোনামনি কুম্ভরানীর পূজা।
পূজাকে ঘিরে পাঁচদিনে যে মেলার আয়োজন করা হয় তা এবার হচ্ছে না করোনার কারনে। মুলত রাজবংশী সম্প্রদায়ের এই পূজা এলাকার সব মানুষের কাছে উৎসবের পরিনত হয়েছে। মায়ের নামে আছে বেশ কয়েক বিঘা জমি। সেই জমির আয়ের ভাগ ও মেলা কমিটির টাকায় হয় এই পূজা। এই পূজা কতদিনের পুরাতন তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না কেউ। তবে কয়েকশো বছরের পুরাতন এই পূজা হয়ে চলেছে।কথিত আছে,সিঙ্গারদহ এলাকার একটি বাড়িতে শ্রীমতী কুম্ভরানী নামে এক নব বিবাহিত বধু তার শ্বশুর শ্বাশুড়ি সাথে মা দূর্গার পূজায় যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছিলেন। তার দেরি হওয়ায় শ্বশুর শ্বাশুড়ি রাগান্বিত হয়ে উচু স্বরে বৌমাকে ডাকতে যান ঘরে। গিয়েই দেখেন বৌমা কুম্ভরানী স্বয়ং মা দুর্গার রূপ ধারন করে আছেন। কুম্ভরানী আদেশ দেন নারীর ওপর অত্যাচার বন্ধ করার। নারীকে দুর্গা রূপে সম্মান দেবার। এছাড়াও সিঙ্গারদহ গ্রামে কুম্ভরানী নামে দেবীর পূজা শুরু করারও আদেশ দেন মা। সেই পূজার মধ্যদিয়েই সিঙ্গারদহ গ্রামকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। আজও মা দূর্গার পূজা সেই পুরানো রীতি মেনেই করা হচ্ছে করনদিঘিতে।