নিউজ ডেস্ক, ১০ জুন : গত কয়েকদিনে আশার আলো দেখিয়ে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও কার্যত একদিনে তিনগুণ বাড়ল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। যা এখনও পর্যন্ত একপ্রকার রেকর্ড বলা যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারণভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৫২ জন। একইদিনে শুধু মৃত্যুই হয়েছে ৬ হাজার ১৪৮ জনের। রীতিমতো উদ্বেগ বাড়িয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা।বিহারে করোনায় মৃত্যুর হার ৭৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যাবৃদ্ধি হয়েছে।বিহার সরকার জানিয়েছে, এদের মধ্যে অনেকেরই হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে। কারোর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে। প্রশাসন সম্প্রতি এই সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করাতেই মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।একদিকে যখন মৃত্যু আশঙ্কা বাড়াচ্ছে, তখন কমেছে সুস্থতার সংখ্যাও। বুধবার ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৬৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। আর বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৬৭ জন। সুস্থতার সংখ্যাও গতকালের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। তবে দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার হার গত কয়েকদিনের মতো এদিনও বেশি।
বৃহস্পতিবার সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৯৫২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৯৩ জন। দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৭৬ জনের।অন্যদিকে বাংলায় ক্রমশ কমছে করোনা সংক্রমণ। বুধবার রাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের থেকে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৩৮৪। স্বস্তি দিয়ে কমছে মৃত্যু হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে ৯৫ জনের। ফলে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ১৬,৫৫৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাজয়ীর সংখ্যা ১০,৫১২ জন। ফলে বাংলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এখনও পর্যন্ত ১৪ লক্ষ ১১ হাজার ৫৭৩ জন। রাজ্যে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্য়া এখন ১৪, ৭০২। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৭.৮৩ শতাংশ। ফলে বলাই যায় ক্রমেই সুস্থতার দিকে এগোচ্ছে বাংলা। পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এখনও পর্যন্ত ১৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৩০ জন। রাজ্যে সংক্রমণের নিরিখে এখনও শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯৬ জন। তবে কলকাতায় গতকালের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে সংক্রমণ। বুধবার দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫৪৭ জন।তবে করোনা মোকাবিলায় জোর দেওয়া হচ্ছে টীকাকরণ প্রক্রিয়ায়।
এখনও অবধি মোট ২৩ কোটি ৯০ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৬০ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।