নিউজ ডেস্ক, রায়গঞ্জ, ২৫ সেপ্টেম্বর : ফের বজ্র-বিদ্যুৎ মুষলধারে বৃষ্টিতে ভেসে গেল উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জ শহর। ভোর থেকে দু’এক ফোঁটা বৃষ্টি হচ্ছিলই। সেই সঙ্গে সকাল থেকেই আকাশের মুখভার ছিল। ঘড়ির কাঁটা দশটা বাজতেই ভারী বৃষ্টি নামে রায়গঞ্জে৷ ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকা জলে ভেসে যায়। তুমুল বৃষ্টিতে জল বাড়ছে নদীগুলিতেও। বিপাকে পড়ছেন বাসিন্দারা।
নিম্নচাপের অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্ত গোটা উত্তরবঙ্গ। আলিপুরদুয়ার থেকে মালদা গোটা উত্তরবঙ্গে একই ছবি। টানা ভারী বর্ষণের জেরে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের প্রধান নদী গুলির জলস্তর ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের নাগর, টাঙ্গন, কুলিক সহ অন্যান্য নদীগুলির জলস্তর ভীষণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে রায়গঞ্জ শহর এবং গ্রামাঞ্চলের জলাশয়, ডোবা সবকিছু ভরে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হয়ে উঠছে। এদিন রায়গঞ্জ শহরের বীরনগর, অশোক পল্লী, শক্তিনগর, রবীন্দ্রপল্লীর একাংশে বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে যায়। মূলত নিচু এলাকাগুলি এই ভারী বর্ষণের জেরে ভেসে গিয়েছে ফলে তীব্র সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রায়গঞ্জের পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, ইসলামপুর সহ অন্যান্য এলাকাতেও ভারী বৃষ্টির জেরে তীব্র সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ।
বিশেষ করে চোপড়ার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের ইতিমধ্যেই কাঁচা ঘরবাড়ি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জল স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বৃষ্টি না কমলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগের সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। বাসিন্দারা জানিয়েছেন যেভাবে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে তাতে নদীর জলস্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ওপর খাল, বিল সবকিছু ভারী বর্ষণে ভরে গিয়েছে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে৷ এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকায় সাপ পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়িতে জলঢোকার উপক্রম তৈরি হয়েছে কারণ নিকাশি ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে এই ভারী বর্ষণের জেরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবারও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। তাতে ধস নামার পাশাপাশি নদীতে জলস্তর আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে বঙ্গোপসাগরে যে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল সেটি শক্তিসঞ্চয় করে পূর্বদিকে সরে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আর সেকারণেই উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতে এর প্রভাব বাড়ছে। ফলে শনিবারও বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই সাধারণ মানুষের।