নিউজ ডেস্ক , ১৭ সেপ্টেম্বর : বৃহস্পতিবার কাকভোরে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) মন্ত্রোচ্চারনের মধ্যেই মহালয়ায় মহিষাসুরমর্দিনী শুনলেন আপামোর বাঙালী। এদিন ভোরে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন নদীঘাটে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পন করেন সাধারন মানুষ। করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে তর্পন করতে মানুষের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছিলো রায়গঞ্জ পৌরসভা।
রায়গঞ্জের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার নদীঘাটে তর্পন করতে ভীড় জমান সাধারন মানুষ। পুরকর্মী ও আধিকারিকেরা নদীঘাটগুলিতে উপস্থিত হয়ে গোটা বিষয়টির তদারকি করেন। অন্যদিকে সারা রাজ্যের পাশাপাশি মালদা শহরের মহানন্দা নদীর মিশন ঘাটে চলে তর্পণ অনুষ্ঠান। এবছর সেভাবে তর্পণ অনুষ্ঠান পালিত না হলেও এই তর্পণ প্রদানকারীদের আশা আগামী বছর এই করোনা সংকট কেটে গেলে আবার তারা পুনরায় সকলে মিলে পিতৃ-পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে পারবেন।
তর্পন যাতে সঠিকভাবে সকলে করতে পারে তার জন্য ইংরেজবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়। এদিন তর্পণ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সকালে মিশন ঘাটে তদারকিতে যান ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক নিহার রঞ্জন ঘোষ।
উল্লেখ্য দুর্গাপুজো শুরু ২৪ শে অক্টোবর। সেই মতে দেবীপক্ষের সূচনা হওয়ার কথা ১৭ ই অক্টোবর। অথচ পাঁজি অনুযায়ী এবার মহালয়া ১৭ -ই সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। সাধারণত মহালয়ার পরদিন থেকেই পিতৃপক্ষের সমাপ্তি ও দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার তিথি-নক্ষত্রের মহা গেরোয় পিতৃপক্ষ শেষে শুরু হচ্ছে না দেবীপক্ষ। মাঝে ঢুকে পড়েছে মল-আশ্বিন। তাই দুর্গাপুজো এবারে কার্তিক মাসে অনুষ্ঠিত হবে। কোনও মাসে দু’টি অমাবস্যা হলে সেই মাস ‘মল মাস’ বলে ধরা হয়। এবার ভাদ্রমাসে তাই হয়েছে। ফলে আশ্বিন মাস মল মাস। আর মলমাসে কোনো শুভকাজ হয়না। পরিণামে মহালয়া ভাদ্রে হলেও দেবীর বোধন কার্তিকে।