নিউজ ডেস্ক , ২৩ নভেম্বর : প্রয়াত হলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা তরুণ গগৈ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। কয়েকদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। লাইফ সাপোর্টে থেকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা। অবশেষে সোমবার বিকেলে জীবনযুদ্ধে হেরে যান। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে।
তরুণ গগৈ ১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিল অসমের যোরহাট জেলার রাঙ্গাজান চা বাগানে জন্মগ্রহণ করেন। যোরহাট গভর্নমেন্ট বয়েজ স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপর জে.বি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। কলেজ জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। পরে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর পাস করেন। তবে অরাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে এলেও আদ্যোপান্ত কংগ্রেসী আদর্শে বিশ্বাসী তরুণ গগৈ ষাটের দশকের শেষের দিকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৬৮ সালে প্রথম পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলার নির্বাচিত হন তিনি। এরপর প্রথমবার নিজের শহর যোরহাট থেকে ১৯৭১ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৭৭, ১৯৮৩ এবং ১৯৯১ সালে পরপর তিনি লোকসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যমন্ত্রী) ছিলেন এবং ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তরুণ গগৈ মার্ঘেরিটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে অসম বিধানসভার বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি ফের লোকসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত টানা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তরুণ গগৈ। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে অসমে দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী থেকে শুরু করে মনমোহন সিং পর্যন্ত একাধিক কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র হয়ে উঠে ছিলেন গগৈ। তাঁর মত মহীরুহর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে অসমে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ৷ তাঁর চলে যাওয়াতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল মনে মন্তব্য করেছেন তিনি।