নিজস্ব সংবাদদাতা , ১৫ ফেব্রুয়ারি : বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ঝোপের মধ্যে সিপিএম নেতার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে ডালখোলা থানার রানীগঞ্জ এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পের পাশে। মৃত ওই ব্যাক্তির নাম রফিক আলম ( ৫৬)। তিনি সিপিআইএম এর ডালখোলা এরিয়া কমিটির পোয়ালতোর শাখা কমিটির সম্পাদক ছিলেন।
সিপিএম নেতার খুনের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সিপিএম এর পক্ষ থেকে খুনের ঘটনায় শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ। পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন ডালখোলা থানার রানীগঞ্জ এলাকার পোয়ালতোর গ্রামের বাসিন্দা রফিক আলম। তিনি সিপিএম এর ডালখোলা এরিয়ার পোয়ালতোর শাখা কমিটির সম্পাদক ছিলেন। সোমবার সকালে ডালখোলা থানার রানীগঞ্জ এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পের পাশে ঝোপের মধ্যে একটি মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এই খবর জানাজানি হতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আশপাশ থেকে বহু মানুষ। খবর দেওয়া হয় ডালখোলা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ডালখোলা থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতদেহটি স্থানীয় সিপিআইএম নেতা রফিক আলমের বলে চিহ্নিত করেন। মৃতদেহের শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে৷ উত্তর দিনাজপুর জেলা সিপিআইএম সম্পাদক অপূর্ব পাল অভিযোগ তুলেছেন শাসকদলের মদতপুষ্ট দুস্কৃতীরাই এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। কে বা কাহারা রফিককে খুন করেছে তা তদন্ত করে অবিলম্বে দুস্কৃতীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। স্থানীয় করনদিঘীর তৃনমূল বিধায়ক মনোদেব সিনহা জানিয়েছেন, এই খুনের ঘটনার সাথে তাদের দলের কোনও সংযোগ নেই। মিথ্য ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা সামনে উঠে আসবে৷ সিপিএম নেতা রফিক খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ। যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।