নিজস্ব সংবাদদাতা, ইসলামপুর, ১ জুন: সরকারি ফাইল লোপাটের অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো ইসলামপুরের
পন্ডিতপোতা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে।উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতের ১১জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূল পায় ৬টি আসন ও নির্দল পায় ৫টি আসন।
তৃণমূলের সমর্থনে পঞ্চায়েত প্রধান হন নির্দল সদস্য সানজিতা নায়েজ। কিন্তু পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে দূর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা এনেছেন পঞ্চায়েতের ৮ সদস্য। লকডাউনে অনাস্থা প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও ফাইল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। দুদিন আগে পঞ্চায়েতের দুই কর্মীকে ফাইল নিয়ে বের হতে দেখে তাদেরকে আটকায় পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয়রা। মঙ্গলবার ফের পঞ্চায়েতে গোপনে কাজ হতে দেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান মহম্মদ মুজ্জাফর ও অন্যান্য সদস্যরা। পঞ্চায়েতের দূর্নীতি ঢাকতে গোপনে এই ফাইলগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো বলে অভিযোগ করেছেন তারা। উপপ্রধান মহম্মদ মুজ্জাফর বলেন, ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কাজে দূর্নীতি করে আসছেন তারা। এই অভিযোগে পঞ্চায়েতের ৮জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে। সেজন্য তার দূর্নীতি ঢাকতে এখন গোপনে কাজ করছে। দুদিন আগে ফাইল বাড়িতে নিয়ে যায় দুজন কর্মী। অন্যদিকে এদিন ফের সেক্রেটারি ও নির্মাণ সহায়ককে নিয়ে পঞ্চায়েতে কাজ করছিলেন তিনি।দূর্নীতি ঢাকতেই এই কাজ চলছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।গন্ডগোলের খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।যদিও লকডাউনে বন্ধ থাকা পঞ্চায়েতের কাজকর্ম সচল রাখতে ওই কর্মীরা ফাইলগুলি বাড়ির নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দাবী পঞ্চায়েত প্রধান সানজিতা নায়েজের স্বামী নুরুল আজমের। তিনি বলেন, অনাস্থা ডাকা হলেও তিনি কোন কাগজ পাননি। পঞ্চায়েতের পেন্ডিং কাজ সম্পন্ন করার জন্য তারা পঞ্চায়েতে এসেছিলেন। সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী পঞ্চায়েত কর্মীদের পথ আটকান। এর আগেও বিভিন্ন সময় পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে অসুবিধের সৃষ্টি করতো এই দুষ্কৃতিরা।