নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ, ১৭ মে : লকডাউনের দ্বিতীয়দিন সোমবার রায়গঞ্জে যথেষ্ট কড়া ছিল পুলিশ। লকডাউন ভঙ্গ করে দোকান খুলে রাখার পাশাপাশি অযথা বাইরে বের হওয়ায় বেশকয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। লকডাউনের মধ্যে নির্দেশ অমান্য করে যাত্রী তুলতে বের হওয়ার টোটো চালককে কান ধরে ওঠবস করায় পুলিশ৷
করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ রোধে রাজ্যজুড়ে সোমবারও লকডাউনে কড়াকড়ি চলল উত্তর দিনাজপুরেও। এদিন ঘড়ির কাঁটা সকাল দশটা বাজতেই লকডাউন সফল করতে আসরে নামে রায়গঞ্জ থানার আই সি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ শহরের শিলিগুড়ি মোড় থেকে শুরু করে ঘড়ি মোড়, পুর বাসস্ট্যান্ড, এম জি রোড, বিদ্রোহী মোড়, উকিল পাড়া, কলেজ পাড়া সর্বত্র ছিল পুলিশের কড়া টহলদারি৷ লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাস্তায় নামেনি কোনও যানবাহন, খোলেনি কোনও দোকানপাট। তবে সকাল ৭ টা থেকে মোহনবাটি, রেলরোড সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাজার বসেছিল। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বিধি উপেক্ষা করেই বহু মানুষ ভিড় জমালেও সকাল ১০ টা বাজতেই রায়গঞ্জ শহর সহ অন্যান্য জায়গার বাজার বন্ধ করতে অভিযানে নামে পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকানপাট। আইনভঙ্গ করে দোকান খোলা রাখায় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে রায়গঞ্জে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা দোকানের সামগ্রীও। এছাড়াও বিনাকারণে রাস্তাঘাটে মোটর বাইক চালক ঘুরে বেড়ানোয় কয়েকজনকে আবার গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পাশাপাশি লকডাউনে টোটো নিয়ে বের হওয়ায় ঘড়িমোড়ে সহ অন্যান্য এলাকায় টোটো চালককে কান ধরে ওঠবস করায় পুলিশ৷ এছাড়াও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন মেনে চলার আবেদন জানিয়ে মাইকিং করেন রায়গঞ্জ থানার আই সি সুরজ থাপা। সবমিলিয়ে করোনার থাবা থেকে মানুষকে বাঁচাতে পুলিশি তৎপরতা ছিল যথেষ্ট সক্রিয়৷ এদিন রায়গঞ্জের পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার, হেমতাবাদ, করণদিঘি ইসলামপুর জেলার সর্বত্রই একই ছবি লক্ষ্য করা যায়৷ বিভিন্ন এলাকায় চলছে নাকা চেকিং৷