নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ০৯ অক্টোবর : বর্ষার মরসুমে বেহাল হয়ে পড়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থেকে শুরু করে ডালখোলা পর্যন্ত ৩৪ নং জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ন অংশ। রাস্তার মাঝে বড় বড় খানা খন্দে ভরে গিয়েছে। এর পাশাপাশি রায়গঞ্জ ও ডালখোলা বাইপাসের কাজও চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। স্বাভাবিক কারনেই জাতীয় সড়কে বাড়ছে যানজট ও দুর্ঘটনা।
উল্লেখ্য উত্তর বঙ্গের সঙ্গে দক্ষিনবঙ্গের যোগাযোগ রক্ষা করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। কিন্তু সংস্কারের অভাবে তা একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরো বিপজ্জনক আকার ধারন করেছে। ইটাহার থেকে ডালখোলা পর্যন্ত জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ন অংশে খানাখন্দে ভরে গিয়ে মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। এরউপর রায়গঞ্জ ও ডালখোলা বাইপাসের কাজ শুরু হলেও অত্যন্ত ধীরগতিতে চলেছে। কবে এই বাইপাস তৈরীর কাজ শেষ হবে সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এটেছে সংশ্লিষ্ট নির্মানকারী সংস্থা। স্বাভাবিক কারনেই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারন মানুষ। বেহাল রাস্তার কারনে তিনঘন্টার পথ পাড়ি দিতে দ্বিগুনেরও বেশী সময় লাগছে। বিকল হয়ে পড়ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। একই কারনে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে জেলার ব্যাবসায়ীদেরও। জাতীয় সড়ক সংস্কার না হওয়ায় একদিকে যেমন তীব্র যানজট তৈরী হচ্ছে অন্যদিকে বাড়ছে দুর্ঘটনা। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরিন্দম সরকার বলেন,” জাতীয় সড়কের অবস্থা সত্যিই বিপজ্জনক।
আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করেছিলাম। কিন্তু উদাসীন কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। বাইপাসের কাজও চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। অথচ রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এইবিষয়ে উদাসীন। জেলাতে তার দেখাই মেলে না। জাতীয় সড়ক সংস্কার ও বাইপাস তৈরী কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার। কিন্তু রায়গঞ্জে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকলেও নরকযন্ত্রনা ভোগ করছেন জেলাবাসী। ” অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন,” জাতীয় সড়কের অবস্থা খারাপ। কিন্তু বর্ষার জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। এসব সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী নিতীন গডকরি জীর সাথে আমার কথা হয়েছে। আবারো আমি তাঁর সাথে দেখা করে সমস্যা মেটানোর আর্জি জানাবো।”