ডিজিটাল ডেস্ক : শীতকাল আমাদের কাছে আনন্দ,পিকনিক, টাটকা শাকসব্জী খাওয়ার জন্য প্রিয়। অনেকে ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেতে মাঝেমধ্যেই পাড়ি দেন শৈল শহরগুলিতে। তবে কনকনে ঠান্ডায় কার্যত গৃহবন্দী হয়ে যেতে হয় সাধারন মানুষকে।
এই অল্প শীতে যদি আমাদের এই অবস্থা হয়, তাহলে রাশিয়ার (Russia) একটি দুর্গম শহর, যেটিকে দুনিয়ার সবচেয়ে শীতল শহর বললেও ভুল হবে না, সেই শহরের মানুষদের অবস্থা চিন্তা করুন। দুনিয়ার সবচেয়ে ঠাণ্ডা শহর হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এই শহরের নাম হচ্ছে ওইমিয়াকন (Oymyakon)। এখানে জানুয়ারিতে গড় তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি। ১২ মাসের মাঝে শীতই থাকে ৯ মাস! সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে। সে সময়ে দিন থাকে মাত্র ৩ ঘণ্টা। ১৯৯৩ সালে অইমিয়কনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মাইনাস ৬৭.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শুধুমাত্র এন্টার্কটিকাতেই (Antarctica) এর চেয়ে নিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে। এই শহরে নেই কোনো হোটেল।
কিন্তু এই শহরের লোকেরা খুব বন্ধুত্বপূর্ণ, কেউ এখানে বেড়াতে আসলে তাদেরকে নিজেদের ঘরেই থাকার জায়গা করে দেয় এখানকার বাসিন্দারা। এরা পশুর মাংস ও মাছ শীকার করে খায়। সারা শীত প্রায় সবসময়ই আগুন জ্বালিয়ে রাখেন বাসিন্দারা। সবচেয়ে কষ্ট জলের। সারাবছর জল জমে বরফ হয়ে যায়। বরফ গলিয়েই জল খেতে হয় তাদের। তাহলে একবার অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য যেতেই পারেন পৃথিবীর এই শীতলতম শহরে।