রায়গঞ্জ, ২১ সেপ্টেম্বর : খালি চোখে দেখা মেলে না এই দুর্গাপ্রতিমার। মায়ের প্রতিমা দেখতে হলে সঙ্গে রাখতে হবে শক্তিশালী আতস কাঁচ। কারন রায়গঞ্জের বীরনগরের বাসিন্দা শিল্পী মানস রায় দেশলাই কাঠি,খড়,মাটি দিয়ে যে প্রতিমা বানাচ্ছেন তার দৈর্ঘ্য মাত্র দুই মিলিমিটার। গিনেস বুক অফ রেকর্ডের স্বীকৃতি পেতেই এই প্রতিমা তৈরী করছেন তিনি।
শারদোৎসব আসতেই মন্ডপে মন্ডপে প্রস্তুতি তুঙ্গে।তবে রায়গঞ্জ শহরের বীরনগরের বাসিন্দা মানস বাবুর এক চিলতে ঘরে গেলে অবাক হতেই হবে। প্রায় তিনবছর ধরে তিনি বানিয়ে চলেছেন দুর্গাপ্রতিমা। দেশলাই কাঠি, খড়, মাটি দিয়ে তৈরি এই প্রতিমার দৈর্ঘ্য মাত্র ২ মিলিমিটার। হ্যা ঠিকই শুনছেন, একটা ছোট্টো পিপড়ের থেকেও ছোটো দুর্গা প্রতিমা, যা খালি চোখে দেখবার উপায় নেই৷ মানসবাবুর হাতে তৈরি মাইক্রো দুর্গা দেখতে হলে সাথে রাখতে হবে আতস কাঁচ। দেশলাই কাঠির কাঠামোয়, খড়, মাটি, রঙ দিয়ে দিনরাত এক করে নিরলস প্রচেষ্টায় রূপ দান করে চলেছেন মৃন্ময়ী দেবী মুর্তি। মানসবাবু বলেন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রতিমা গড়ে গিনিস বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলা আমার উদ্দেশ্য। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ৬ এমএম এবং ৫ এমএম এর একচালা এবং আলাদা আলাদাভাবে প্রতিমা তৈরী করেছি।রায়গঞ্জের বীরনগরের বাসিন্দা মানস রায়ের শহরে একটি চশমার দোকান রয়েছে। তবে শিল্পকলার প্রতি আকর্ষণ তার নেশা। বর্তমানে আর্টের কাজের কদর কমে যাওয়ায় তার ক্ষুদ্র শিল্পকলা তৈরীর নেশাকে কাজে লাগিয়ে তিনি ছোট্টো দুর্গা গড়ার কাজ করছেন। দেশলাইয়ের কাঠিকে কাঠামো করে মাটি, খড়, রঙের ব্যবহারে তিনি তৈরী করেছেন এই দুর্গা প্রতিমা। শুধুই দুর্গা নয়, গনেশ, লক্ষী, কার্তিক, সরস্বতী, অসুর এমনকি সিংহও অবিকল বড় প্রতিমার মতই রূপ নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই মানসবাবুর প্রতিবেশীরা তার শিল্পকলা দেখতে বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন। রাত গভীর হলে,চারিদিক যখন নিঃস্তব্ধ হয়ে যায়,তখন আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে এভাবেই নতুন সৃষ্টিরা জন্ম নেয় মানসবাবুর একচিলতে ঘরে।