নিউজ ডেস্ক , ০৪ ডিসেম্বর : টান পড়েছে ভাঁড়ারে অগত্যা ভারতের ওপরেই নির্ভর করছে চীন। সংঘাতের মাঝেও ভারতের ওপরেই ভরসা চীনের।
লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর ভারত ব্যবসায়িক দিক থেকে চিনকে একেবারে কোণঠাসা করতে শুরু করেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শতাধিক চিনা অ্যাপ। ফলে প্রভুত ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ড্রাগনের দেশকে।
তিন দশকের মধ্যে প্রথমবার ভারত থেকে চাল আমদানি করছে চীন। ভারতের মতোই চিনেও অন্যতম প্রধান খাদ্য ভাত। কিন্তু সেখানে যে পরিমাণ ভাত খাওয়া হয়, সেই পরিমাণ ধান উৎপাদন করা হয় না। ফলে চালের জন্য অন্য দেশের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় চিনকে। সরবরাহের ঘাটতিসহ ভারত থেকে দাম কম রাখার প্রস্তাব পেয়ে সীমান্ত বিরোধ সত্ত্বেও চীন আবার চাল আমদানি শুরু করেছে বলে জানাচ্ছে রয়টার্স। মূলতঃ বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রফতানিকারক দেশ ভারত এবং সর্ববৃহৎ আমদানিকারক চীন। বেইজিং প্রতি বছর ৪০ লাখ টন চাল আমদানি করে। তবে বিগত শেষ ৩০ বছর ধরে ভারত থেকে চাল আমদানি করত না চিন। সেখানের কমিউনিস্ট সরকার মূলত ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, পাকিস্তানের থেকে চাল আমদানি করত চিন। তাঁদের দাবি ছিল ভারতের চালের মান নাকি ভাল না। তাই ভারত থেকে চাল আমদানি তারা বহু আগে বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে এখন চিনকে যেসব দেশ চাল রপ্তানি করত তাদের ভাঁড়ারে টান পড়েছে। ফলে তারা আর আগের মতো চাল চিনকে পাঠাচ্ছে না। আর পাঠালেও সেই চালের দাম অনেক বেশি। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ভারতের কাছে হাত পাতছে শি জিংপিং এর সরকার।সীমান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিবেশী পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটির চলমান রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই ভারত থেকে চীনের চাল আমদানি শুরুর এ খবর জানিয়েছে ভারতের শিল্পখাত সংশ্লিষ্টরা।চাল রফতানিকারকদের সংগঠন রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বি ভি কৃষ্ণা রাও বলেন, “প্রথমবারের মতো চাল কিনছে চীন। মান দেখে তারা হয়তো আগামী বছর থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়াবে।”ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “চলতি ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতি টন ৩০০ ডলার হিসেবে এক লাখ টন চাল জাহাজে তুলে দিতে চীনা বণিকদের সঙ্গে চুক্তি করেছে রফতানিকারকরা।”