নিউজ ডেস্ক,১৭ইনভেম্বের : রায়গঞ্জের সুপ্রিয়া হত্যাকান্ড! গত ৫ দিন ধরে এই ঘটনা নিয়ে একটার পর একটা রহস্য দানা বাঁধছিল। খুনি কে? বার বার এই প্রশ্ন উঠে আসছিল। গভীর কারনের জেরেই যে গলার নলি কেটে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল তা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু তারপরেও প্রকৃত খুনিকে চিহ্নত করে ধরতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে।
১১ই নভেম্বর শুক্রবার রায়গঞ্জ শহরের রবীন্দ্রপল্লীতে বাড়ির মধ্যেই নৃশংস ভাবে খুন হন সুপ্রিয়া দত্ত। তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার সময় বাড়িতে স্বামী ও সন্তান অনুপস্থিত ছিলেন। দুস্কৃতি গলার নলি কেটে দিয়েছিল মহিলার। সন্ধ্যে নাগাদ খবর পেয়ে পুলিশ আসে। জনবহুল এলাকায় বাড়ির মধ্যে এমনভাবে খুনের ঘটনা ঘিরে হতবাক তন্তকারিরা। পুলিশ কুকুর দিয়ে শুরু হয় তল্লাশী। প্রাথমিক ভাবে পরিবার চুরি- ছিনতাইয়ের অনুমান করেছিল। কিন্তু না। খুনের নৃশংসতার প্রকৃত কারন ভাবিয়ে তোলে পুলিশ কে। শুরু হয় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত।খুনের ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১২ তারিখ আমরাই প্রথম তুলে ধরি একটি সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যায় রবীন্দ্রপল্লীর গলি থেকে খুনের ঘটনার কিছুক্ষণ বাদে মাস্ক ও টুপি পরিহিত সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে বেড়িয়ে যেতে। সেই ফুটজের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। এরই পাশাপাশি এই ঘটনায় পরকীয়া সম্পর্ক জড়িয়ে থাকতে পারে বলে আমরা খবরেও প্রকাশ করি। ভিন জেলার এক ব্যক্তির প্রসঙ্গও আমরা তুলে ধরেছিলাম। অবশেষে তাতেই শীলমোহর পরল। ঘটনায় উঠে এল পরকীয়া তত্ব। পুলিশের দাবী, সুপ্রিয়া দত্তের সাথে প্রবাল সরকারের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হতেই তৎপরতার সাথে ময়দানে নামে পুলিশ। এদিকে সূত্রের খবর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নিজের রুপ বদলাতে মাথা ন্যাড়া ও দাঁড়ি কামিয়ে ফেলে প্রবাল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বুধবার পুলিশের হাতে ধরা পরে যায় প্রবাল। বুধবার তাকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার একটি হোটেল থেকে ইনটেলিজেন্স টিমের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়। রাতেই তাকে সড়কপথে রায়গঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় ঢোকার পথে সংবাদমাধ্যমের সামনে একেবারেই নিশ্চুপ ছিল অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার সকালে এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার রিপন বল।পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই খুন হয়েছিলেন রায়গঞ্জের সুপ্রিয়া দত্ত। অভিযুক্ত প্রবাল সরকারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সেই তথ্যই মিলেছে বলে এদিন জানালেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার রিপন বল। ডিএসপি বলেন তার কাছ থেকে ২ টি মোবাইল ফোন ও একটি মোটরবাইক উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ফোন মৃত সুপ্রিয়া দত্তের।এদিন দুপুরে ধৃতকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করা হয়। ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। কিন্তু খুনের প্রকৃত কারন কি? সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই খুন নাকি নেপথে আরও অন্য কোনো কারন রয়েছে তা এখনও ধোঁয়াশার মধ্যে। হেফাজতে নেওয়ার পর এখন এ ব্যপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। দত্তের সাথে প্রবাল সর