নিউজ ডেস্ক , ০৫ নভেম্বর : ভোটের ফল বেরোনোর পরও বির্তক হতে পারে,এই আশঙ্কার কথা ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে আগেই বলা হচ্ছিল। বুধবার ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই ট্রাম্প নিজে জয়ী হিসেবে দাবি করে ভোট গণনা রোধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের দাবি, এই নির্বাচনে জয়ী হবেন তিনিই। ট্রাম্প আগাম ঘোষণা করেছিলেন , নির্বাচনে পরাজিত হলে সেই রায় তিনি নাও মেনে নিতে পারেন। যেতে পারেন উচ্চ আদালতে।
এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রথম থেকে ব্যাতিক্রমী পথে হাঁটতে শুরু করেছে। রেকর্ড পরিমানে ডাকযোগে ভোট, ইলেকটরেটদের মধ্যে অতিমাত্রায় মেরুকরণ অথবা সুপ্রিম কোর্টে বিচারকদের ‘বিভাজনের’ স্পষ্ট আভাস। এ ছাড়া অঙ্গরাজ্যের ফল প্রায় সমান-সমান থাকলেও উভয় পক্ষই আদালতে যেতে পারবে। ফলে ভোটের ফল অধরা থেকে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। জানা গিয়েছে , নির্বাচন নিয়ে চারশোর বেশি মামলা হয়েছে এবার। যা আমেরিকার নির্বাচনের ইতিহাসে সব থেকে বেশি । ২০০০ সালের মত ঘটনা এবারও ঘটতে পারে। ভোটের ফয়সালা সেবার হয়েছিল আদালতে। কোনো কারণে নির্বাচনী ফল অমীমাংসিত থাকলে কিংবা কে বিজয়ী হলেন, তা স্পষ্ট না হলে সে ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান। দেশটির সংবিধানের ১২তম সংশোধনী অনুযায়ী, আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যে নবনির্বাচিত প্রতিনিধিপরিষদের সদস্যরা ঠিক করবেন, কে প্রেসিডেন্ট হবেন। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়া নির্ভর করবে উচ্চকক্ষ সিনেটের ওপর। এ ব্যবস্থা ‘কনটিনজেন্ট ইলেকশন’ নামে পরিচিত।
তবে ভোটের লড়াই আদালত পর্যন্ত গড়ালে সেখানে হয়তো সুবিধা পেতে পারেন ট্রাম্প। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন বিচারপতির মধ্যে ছয়জনই রক্ষণশীল। এই ছয় বিচারপতির মধ্যে তিনজনই আবার ট্রাম্পের নিয়োগ দেওয়া। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ‘পক্ষপাতে’র কারণেই জিতে যান (৫ঃ৪ ব্যবধানে) জর্জ ডাব্লিউ বুশ। মাত্র ৫৩৭ ভোটের ব্যবধানে বুশকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম।
অন্যদিকে,ইলেকটোরাল ভোট নিয়েও ‘জটিলতা’ হওয়ার আশঙ্কা আছে। সাধারণত গভর্নররা তাঁদের রাজ্যের ফল চূড়ান্ত করে কংগ্রেসকে জানান। তবে রাজ্যের আইনসভাও ভিন্ন ফল দিতে পারে। ১৮৭৬ সালে তিনটি রাজ্যের এমন ‘ডুয়েলিং ইলেকটরস’ ফল দেওয়া হয়। এর জেরে পরের বছর ইলেকটোরাল কাউন্ট অ্যাক্ট (ইসিএ) পাস হয়। ওই আইন অনুযায়ী কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধিপরিষদ ও উচ্চকক্ষ সিনেট ভিন্নভাবে যেকোনো একটি ফল গ্রহণ করতে পারে।