নিউজ ডেস্ক,২৬ইজানুয়ারিঃসকাল তখন প্রায় আটটা। পরনে লাল শাড়ি, শরীরে নামাবলী জড়ানো। ধুপ ধুনোর গন্ধে ভরা ক্লাস রুমের ভেতরে বসে গোটা গোটা সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণের একমনে পুজো করতে দেখা গেলো জয়া চক্রবর্তীকে। আর তার আশপাশ দিয়ে সশ্রদ্ধ ভাবে বসে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্ররা। যজ্ঞ সহ পুজো সম্পন্ন করতে লেগে গেলো প্রায় দেড় ঘন্টার বেশী সময়। হঠাৎ করে মহিলা পুরোহিত হওয়া চিন্তা মাথায় এলো কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে, বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের এই শিক্ষিকা জয়া চক্রবর্তী বলেন, পুজো করার শুরুটা হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেবার বিদ্যালয়ের সরস্বতী পুজোতে পুরোহিত আসতে দেরি করেছিল। সেবার থেকেই বিদ্যালয়ে আমিই পুজো করছি। পুজোর করার শিক্ষাগুরু আমার স্বামী। এরপরে বেশ কয়েকবার দূর্গা পুজো করেছি। ছেলে ফনীন্দ্রদেব প্রথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। সেই সুত্র ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরিন্দম বাবু এবার পুজো করার জন্য ডেকে ছিলেন।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত সিনহা বলেন মহিলারা পুজো করতে পারবে না। এটা একটা অলিখিত প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রথা থেকে বেড়িয়ে আসতে এবং সমাজকে ছেলে মেয়ে উভয়ই সমান এই বার্তা দিতেই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমস্ত জায়গায় মহিলারা এগিয়ে আসছেন। তাহলে তারাই বা পুজো করতে পারবেন না কেন? এবার থেকে জয়া চক্রবর্তীকে দিয়েই বিদ্যালয়ে পুজো করান হবে।
আপনার পছন্দের সংবাদ
-
1 year ago
জলপাইগুড়িতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৩
-
1 year ago
অমানবিকতার নজির শবযাত্রায়