শান্তনু চট্টোপাধ্যায় : ভোজন রসিক বলে বাঙালীর সুনাম বা দুর্নাম যাই বলুন না কেন আছে। কিন্তু জানেন কি স্বামী বিবেকানন্দ সাংঘাতিক ভোজন রসিক ছিলেন। স্বামীজির প্রিয় খাওয়ার ছিল কচুরী। তিনি বলতেন কচুরী ছাড়া দিন চলে না। কলকাতার নামকরা দোকানে ঘুরে ঘুরে তিনি কচুরী খেতেন। লণ্ডনে থাকার সময় বাড়িতেই নিজহাতে কচুরী বানাতেন।
তবে শুধু কচুরী নয় বিভিন্ন রকমের মাংসের প্রতি বিবেকানন্দের চরম দুর্বলতা ছিলো। তিনি ফাউল(মুরগীর মাংস) খেতে ভালোবাসতেন। কিছু বন্ধুদের নিয়ে পেটুক সংঘ খুলেছিলেন স্বামীজী। জানা যায় শিকাগো যাত্রার আগে বোম্বাইতে নিজে টাকা খরচ করে শিষ্যদের জন্য পোলাও রান্না করেছিলেন তিনি।
মা সারদা বলেছেন, নরেন নানা রকমের মাংস রাঁধতে পারত। একটা সময় ফাউল অর্থাৎ মুরগির মাংস গৃহস্থ ঘরে ঢোকা ঘোর অনাচার বলে মানা হত। কিন্তু সেকালে নরেন এ সব বেনিয়ম ভেঙে দিয়েছিলেন এবং স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ তা বিলক্ষণ জানতেন। যাই হোক নরেনের মানে স্বামীজীর হোটেলে যথেচ্ছ মাংস খাওয়া নিয়ে ঠাকুর রামকৃষ্ণ এর কাছে এক শিষ্য অভিযোগ জানালো। ঠাকুর হেসে বলেছিলেন,” খেয়েছে বেশ করেছে। তুই যদি হবিষ্যিও খাস,আর নরেন যদি হোটেলে খায়,তা হলেও তুই নরেনের সমান হতে পারবি না। ” আমেরিকায় থাকাকালীন স্বামীজী সকালে উঠে কমলালেবু, আঙুর, ডাবল ডিমের পোচ, টোস্ট, ও ক্রীম ও চিনি দিয়ে কফি খেতেন। রাতের খাবারের তালিকায় মাংস কিম্বা মাছ থাকতোই। আর থাকতো মিষ্টি বা আইসক্রীম। প্রতিবার খাবারের পরে ধুমপান করতেন তিনি। এমনকী মৃত্যুর দিনেও দুপুরে ভাত ও ইলিশ মাছ খেয়েছিলেন বলে জানা যায়।
তথ্যসূত্র : বাঙালির খাওয়াদাওয়া
(আহারে অনাহারে মহারাজ স্বামী বিবেকানন্দ)
আরও পড়ুন –করোনার বলি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার