নিতাই সাহা, রায়গঞ্জ, ৩ সেপ্টেম্বরঃ করোনা আবহে বাজারে সবজির দাম উর্দ্ধমুখি হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে৷ নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির মূল্য যদি নাগালের বাইরে চলে যায় তাহলে খাবো কি? নিরুপায় হয়ে এই প্রশ্ন তুলছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ৷ উল্লেখ্য বাজারে বর্তমানে আলুর দাম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিকোচ্ছে৷ জ্যোতি আলু কিংবা চন্দ্রমুখী যা-ই কিনুন কেন তা আপনাকে ৩৫ টাকা বের করতেই হবে৷
একই পরিস্থিতি অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রেও৷ ভাল দেশি পটল ৬০ টাকা। কোথাও আবার একটু কম ৫০ টাকা৷ হিলির চালানি পটল হলেই কোন ছাড় নেই। একই দামে কিনতে হচ্ছে৷ ঝিঙা, কাঁচা লংকা কিংবা ঢ্যাঁড়স যাই কিনুন দাম বেশ চড়া৷ করোনা আবহের সুযোগে শাকসবজির এই উর্দ্ধমুখি দামে নাভিশ্বাস অবস্থা সাধারণ মানুষের৷ রায়গঞ্জের যে বাজারেই যান দামে খুব একটা হেরফের নেই৷ রেল বাজার, মোহনবাটি, লাইন বাজার সর্বত্রই একই চিত্র।
কিন্তু কেন পরিস্থিতি? সাধারণ মানুষের বক্তব্য, যে পটল মাস খানেক আগে ৩০ টাকা কেজি কিনেছেন তারা, সেই পটল এখন ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে৷ অথচ করোনা সংকটকালে যেখানে মানুষের রুজিরোজগারে টান পড়েছে, সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির মূল্য কেন আকাশ ছোঁয়া হয়েছে তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
অসাধু ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে লুঠ করার যে কৌশল নিয়েছে এই মহামারীর সময়ে তা রুখতে হলে অন্তত সপ্তাহে দু’দিন টাস্ক ফোর্সের হানা দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বাজারে আসা ক্রেতা সাধারণ। আর এতে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে আম জনতা।