নিউজ ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর : আমেরিকা আফগানিস্তানে তাদের অত্যাধুনিক বিমান ও সামরিক কপ্টার ছেড়ে যাওয়ায় উল্লাসে ফেটে পড়েছিল তালিবানরা। আনন্দে শূন্যে গুলিও ছোঁড়ে তারা। কিন্তু অতি উৎসাহ যে ক্ষতিকর তা আরও একবার প্রমাণ পাওয়া গেল। মার্কিন বাহিনীর ছেড়ে যাওয়া বিমান ও কপ্টার সব বিকল।
কারণ কবুল বন্দরে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা বিমান গুলি অকেজো করে দিয়ে গেছে মার্কিন ফৌজ। ফলে এই বিমান মেরামত করা অন্তত তালিবানদের পক্ষে সহজ নয় বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এনিয়ে তালিবানরা মুষড়ে পড়লেও ইঞ্জিনিয়ার ডেকে সেগুলো ঠিক করা হবে বলে দাবি তালিবানদের।উল্লেখ্য দীর্ঘ ২ দশক পর গত ৩০ আগস্ট রাতের অন্ধকারে কাবুল বিমানবন্দর থেকে উড়ে গিয়েছিল শেষ মার্কিন বিমানটি। এরপর কাবুল বিমানবন্দরের ছবি তুলে ধরেছেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক সাংবাদিক। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিমানবন্দরটিতে পড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি সামরিক হেলিকপ্টার ও বিমান। তবে কোনওটার ইঞ্জিন নেই তো কোনওটার প্রপেলার হাওয়া। ফলে সেগুলিকে আর কাজে লাগানো সম্ভব নয়। এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ বলে, “তারা ভেবেছিলেন আমেরিকা এই বিমানগুলিকে অক্ষত অবস্থায় তাদের হাতে তুলে দেবে। কারণ এগুলি দেশের সম্পত্তি।” সে আরও জানিয়েছে, শীঘ্রই বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ন করে পরিষেবা শুরু করা হবে। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারদের তলব করে বিমানগুলির মেরামত করা হবে। কিন্তু বিশেজ্ঞদের বক্তব্য, বিমানগুলি সরিয়ে তোলার মতো ক্ষমতা তালিবানের নেই। সূত্রের খবর, দেশ ছাড়ার আগেই আফগান বায়ুসেনার ৭৩টি বিমান অকেজো করে দেয় মার্কিন ফৌজ। কাবুল বিমাবন্দর দখল করলেও তা পরিচালনা করার মতো দক্ষতা নেই তালিবানের। বিশেষ করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে শুরু করে রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করার মতো পরিকাঠামো এই মুহূর্তে কাবুল বিমানবন্দরে নেই। ফলে বিপাকে তালিবানরা।