নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ : জীবন চলছিলো স্বাভাবিক ছন্দেই। বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী আর ছোট সন্তান কে নিয়ে অনেক না পাওয়ার যন্ত্রনার মধ্যেও বেশ ভালোই চলছিলো সংসার। তবে আকষ্মিক ছন্দপতন ঘটে যায় শুভঙ্কর রায়ের জীবনে। মাত্র ৩২ বছর বয়সে দুটো কিডনীই অকেজো হয়ে গিয়েছে তার। আর্থিক সংকটের কারনে সামর্থ্য নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করার।
আর এভাবেই ধীরে ধীরে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে রায়গঞ্জের খলসীর বাসিন্দা শুভঙ্কর। স্থানীয় একটি গ্রীল ফ্যাক্টারীতে কাজ করে সংসার প্রতিপালন করতেন শুভঙ্কর। কিন্তু লকডাউন চলাকালীন আচমকাই অসুস্থ পড়ে সে। প্রথমে রায়গঞ্জ এবং পরে কলকাতার পিজি তে শারীরিক পরীক্ষা নীরিক্ষার পর জানা যায় তার দুটি কিডনী অকেজো হয়ে গিয়েছে। দ্রুত শুরু করতে হবে ডায়ালিসিস। সঙ্গে নিয়ম মাফিক খেতে হবে ঔষধ। এই ঘটনায় বাজ ভেঙে পড়ে পরিবারের মাথায়। সঞ্চিত অর্থ ও পাড়াপ্রতিবেশীদের সাহায্যে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ কোনোমতে সম্পন্ন হয়েছে।
কিন্তু প্রতিমাসে ডায়ালিসিস ও ঔষধের খরচা আর জোগাড় করা সম্ভব হয়ে উঠছে না অসহায় পরিবারের পক্ষে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী শুভঙ্কর এখন আর কাজে যেতে পারে না। বৃদ্ধ বাবা দিনমজুরের কাজ করে কোনোমতে একবেলা খাওয়ার ব্যাবস্থা করছেন। এই পরিস্থিতিতে ছেলের চিকিৎসা কীভাবে করা সম্ভব তা ভেবে কূল-কিনারা করতে পারছেন না তারা। শুভঙ্করের মা রেনু রায় বলেন,” ছেলেটা বিছানায় শয্যাশায়ী। দুটি কিডনী খারাপ হয়ে গিয়েছে। দিনরাত ঠাকুরকে ডাকি। চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা দরকার, সরকারী সাহায্য না পেলে ছেলেটাকে বাঁচাতে পারবো না। গরীব মানুষ আমরা ভাত জোগাড় করবো না ছেলেটার চিকিৎসা করাবো? “
অন্যদিকে পাড়াপ্রতিবেশীরা জানিয়েছেন,”নিজস্ব জমি জায়গাও নেই পরিবারটির। ভেস্ট ল্যান্ডে থাকে। পাড়াপ্রতিবেশীরা চাঁদা তুলে কিছুটা সাহা্য্য করেছি। কিন্তু এই রোগের চিকিৎসায় আরো টাকা দরকার। সকলের সহযোগিতা ছাড়া ছেলেটিকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।” সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে একটি তরতাজা প্রাণ। সহৃদয় মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই একমাত্র শুভঙ্করকে ফিরিয়ে দিতে পারে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দপ্রবাহে।
9635608868/ 8768926483 – সহযোগিতার জন্য শুভঙ্করের আত্মীয়ের এই ফোন নাম্বার দুটিতে যোগাযোগ করতে পারেন।