আরসিটিভি সংবাদ : রায়গঞ্জ শহরের কুলিক পক্ষীনিবাসের কথা আমাদের সকলেরই জানা। এশিয়ার বৃহত্তম পক্ষীনিবাস হিসেবে পরিচিত। এরই পাশাপাশি এবারে রায়গঞ্জের আরেক পাখিরালয় ঘিরে আকর্ষণ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মনে। অনেকেই হয়ত জানেনই না এই পাখিরালয়টির অবস্থান। না জানাটা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারন এবছরই এই পাখিরালয়টির গুরুত্ব দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনটি ভাষা রপ্ত করে লিখে ফেলেছে একাধিক কবিতা।
একটি নতুন প্রজাতির রাজ হাঁসের আগমন ঘিরে উৎসাহের শেষ নেয় সাধারণ মানুষের। রাশিয়ান প্রজাতির তুন্দ্রা বিন গুসের দেখা মিলেছে রায়গঞ্জের পানিশালায় দীপরাজার দীঘি নামক একটি জলাশয়ে। এই জলাশয় কে ঘিরেই এখন কৌতুহলের শেষ নেই। প্রসঙ্গতঃ বহুবছর ধরে ঐ জলাশয়ে বিপুল পরিমানে সাইবেরিয়ান প্রজাতির রাজহাঁস গ্রেল্যাগ গুসের (Graylag Goose) আনাগোনা দেখা গেলেও এবছর হঠাৎ তুন্দ্রা বিন রাজ হাঁসের দেখা মেলায় উচ্ছ্বসিত বিশেষজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন-বালুরঘাটে চাকরি বাতিল জেনে স্কুলেই আসেন নি ‘অযোগ্য’ কর্মী
পক্ষী বিশেষজ্ঞদের মতে,রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে গ্রেল্যাগ প্রজাতির রাজহাঁসরা প্রায় সময়ে ভারতে এলেও তুন্দ্রা বিন নামক রাজহাঁসটির দেখা ভারতে হাতেগোনা কয়েকবার মিলেছে। এমনকি এই রাজহাঁসটির দেখা পশ্চিমবঙ্গেও এর আগে একবার মিলেছিলো। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই একে ঘিরে খুশীর আবহ জনমনে। রবিবার আর সি টি ভি সংবাদের ক্যামেরা পৌছে যায় সেখানে। জলাশয় জুড়ে দেখা যায় গ্রেল্যাগ রাজহাঁস ভর্তি তাঁর মাঝে একটি মাত্র তুন্দ্র বিন রাজহাঁস।তবে এতোগুলো হাঁসের মাঝে এই তুন্দ্রা বিন হাঁসটির চেনার উপায় কী? বিশেষজ্ঞ রা বলছেন, এই হাঁসটির বৈশিষ্ট্য হলো,হাঁসটির ঠোঁট কালো এবং ঠোঁটের মাঝে রয়েছে একটি ছোট হলুদ দাগ এবং শরীরটি কালচে যা বাকি হাঁসদের থেকে আলাদা।এদের খাবার জলাশয়ের উদ্ভিদ যা খেয়েই এরা জীবনধারন করে বলে জানান পক্ষী প্রেমীরা।
আরও পড়ুন-বন্ধুর জীবন বাঁচাতে কৌটো হাতে রাস্তায় নামল বন্ধুরা
বিরল প্রজাতির এই পাখির খবর চাউর হতে কলকাতা,শিলিগুড়ি,মালদা,বালুরঘাট থেকে ছুটে এসেছেন পক্ষী প্রেমী ও বিশেষজ্ঞরা।বনকর্মীদেরও আনাগোনা বাড়ছে। সকাল থেকে জলাশয়ের ধারে এই রাজহাঁসদের লেন্স বন্দী করতে ব্যস্ত সকলেই।
এদিকে গ্রামের জলাশয়ে বিরল প্রজাতির রাজহাঁসের দেখা মেলায় উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রাও।তাঁরা জানান,দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বিপুল পরিমান হাঁসের আনাগোনা তাঁরা লক্ষ্য করেছেন, তবে এই বছর বিরল প্রজাতির যে পাখি এসেছে তা তাঁরা বনদপ্তরের কর্মীদের কাছ থেকে জেনে ভীষন খুশী। তাই সরকারি ভাবে সেখানে একটি ওয়াচ টাওয়ার ও শৌচালয় তৈরি র আবেদন জানিয়েছেন।তবে এই জলাশয় ঘিরে অদূর ভবিষ্যতে যে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার সম্ভাবনা নিছক কম নয় তা বলাই বাহুল্য। আর আশায় বুক বাঁধছেন এলাকার মানুষ।