
নিউজ ডেস্ক, ২০ এপ্রিল: সোমবারই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ১লা মে থেকে ১৮ বছর বয়সী সকলে টিকা নিতে পারবেন। শুধু মাত্র ১৮ বছরের কম বয়সিরা টিকা নিতে পারবেন না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের নির্বাচনী প্রচার থেকে সুর চড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁর পালটা প্রশ্ন, “এত মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করার পর কেন্দ্র বলছে খোলাবাজারে করোনার টিকা মিলবে। কিন্তু মিলবে কী করে? এত ভ্যাকসিন কোথায়?”এদিন ১৫ মিনিটের মধ্যে নিজের সভা শেষ করেন তিনি। নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন তিনি বলেন, “দেশ থেকে করোনার ৬৪ শতাংশ ওষুধ বিদেশে পাঠিয়েছেন। এখন তো মরে গেলেও ওষুধ পাব না আমরা। বিদেশে ওষুধ পাঠাচ্ছেন, নিজের দেশের কথা ভাবলেন না একবারও।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “খোলাবাজারে ভ্যাকসিন মিলবে বললেই শুধু হবে না। বাজারে টিকার সরবরাহ স্বাভাবিক করতে হবে।”পাশাপাশি করোনা ভ্যাকসিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি লেখেন, “গত ২৪শে ফেব্রুয়ারির পাঠানো আমার চিঠি আপনি মনে করে দেখতে পারেন, যেখানে আমি রাজ্যের তরফে সরাসরি ভ্যাকসিন কেনার অনুমতি চেয়ে আপনার হস্তক্ষেপ চেয়েছিলাম। রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু আপনার তরফে কোনও উত্তর পাইনি। দ্বিতীয় তরঙ্গে সংক্রমণ যখন হু হু করে বাড়ছে, তখন কেন্দ্র অন্তঃসার শূন্য বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব এড়ানোর পথ নিয়েছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কেন্দ্রীয় ঘোষণায় টিকার কার্যকারিতা, গুণমান, সরবরাহ নিয়ে সমস্যা সমাধানের কোনও পথ দেখানো হয়নি, রাজ্য কত দামে টিকা কিনতে পারবে, সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। আমাদের আশঙ্কা, এই ঘোষণার ফলে বাজারে অসাধু প্রবণতা দেখা যেতে পারে, যা সাধারণ মানুষের টিকা কেনার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।”পাশাপাশি চিঠিতে বলা হয়েছে প্রয়োজনীর টিকার অভাব রয়েছে এবং টিকার যোগানের বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যাপারেও আবেদন করা হয়েছে। একটা বিশ্বাসযোগ্য টিকাকরণ নীতি করার ব্যাপারেও প্রধামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
