নিউজ ডেস্ক , ২৪ ডিসেম্বর : দীর্ঘদিন বাদে পাহাড়ের গা বেয়ে ফের পথ চলা শুরু করল দার্জিলিংয়ের গর্ব টয় ট্রেন। কু ঝিক ঝিক শব্দে আপাতত দার্জিলিং থেকে ঘুম ষ্টেশন পর্যন্ত ছুটল পৃথিবী বিখ্যাত এই ট্রেন। প্রথমদিনেই ট্রেনে চড়ার স্বাদ নিতে পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
চলতি বছর মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে করোনা মহামারির রোধে লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে গোটা দেশেই। তাই এবারে পর্যটকদের স্বার্থে দার্জিলিংয়ের গর্ব টয় ট্রেন চালু করে দিল উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য ১৮৭৯ থেকে ১৮৮১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ৮৬ কিলোমিটার (৫৩ মাইল)। এর উচ্চতার মাত্রা শিলিগুড়িতে ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) এবং দার্জিলিঙে ২,২০০ মিটার (৭,২১৮ ফুট)। আজও এটি বাষ্পচালিত ইঞ্জিনে চলে। দার্জিলিঙের মেল ট্রেনের জন্য ডিজেল চালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো দার্জিলিং হিমালয়ান রেলকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। ২০০৫ সালে নীলগিরি পার্বত্য রেলকেও এর সঙ্গে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়। পাহাড়ের ঐতিহ্য এই টয় ট্রেনে চড়তে কে না ভালবাসে৷ শীতের মরসুমে পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও যাতে ট্রেনে চড়ার স্বাদ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে তারজন্য আপাতত দার্জিলিং থেকে ঘুম ষ্টেশন পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল করবে৷ রেলের এক কর্তা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ট্রেন পরিষেবা। শীতের এই মরসুমে ঘুরতে আসা পর্যটকরা চাইছিলেন টয় ট্রেন চালু হোক পাহাড়ে। তারপর সামনেই বড়োদিন৷ শেষে নতুন ইংরেজী বর্ষবরণ। ফেস্টিভ্যালের মরসুম। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে টয় ট্রেন চালু করা হয়৷ সংক্রমণ রোধে যাত্রীদের সমস্ত নিয়ম মানতে হবে।