নিউজ ডেস্ক, ০২ নভেম্বর : সোমবার ২ নভেম্বর ৫৫ -তে পড়লেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় সহকর্মী থেকে ভক্তকুল কেউই তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। শাহরুখ শুধু বলিউড বাদশাই নন, এই বাংলার সঙ্গেও একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে শাহরুখের। এরাজ্যের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর’ তিনি।
১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর দিল্লির এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা। বাবা ছিলেন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী। হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করে শাহরুখ ভর্তি হয়েছিলেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় গণযোগাযোগ বিষয়ে। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরুর লক্ষ্যে ছেড়ে দেন প্রতিষ্ঠানটি। অভিনয় পাঠগ্রহণ করেন দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে৷ এরপর নানা উন্থান-পতনের মধ্য দিয়ে আজকের এই জায়গায় উঠেছেন এসেছেন শাহরুখ খান। অভিনেতা হিসেবে কিং খানের পথচলা শুরু হয় ১৯৮৯ সাল থেকে। ‘ফৌজি’ টিভি সিরিজ দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি। তবে বলিউডে তাঁর অভিষেক হয় ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ ছবির হাত ধরে। আর তাতেই কেল্লা ফতেহ! এ ছবিতে তার দুর্দান্ত কাজের জন্য অর্জন করেন সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। ‘চমৎকার, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গেয়া জেন্টলম্যান’এর মতো হিট ছবিতে ভাল অভিনয় করে সবার নজর কাড়েন তিনি। ঠিক তার পরের বছরই ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ ছবিতে নিজের অভিনয়ের জাদু দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেন। এই সময়ের মধ্যে দর্শকের মনেও জায়গা করে ফেলেন তিনি। পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তাঁর অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের ছবিতে ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। দিল তো পাগল হে, কুছ কুছ হোত্যা হে, কয়লা, দিলবালে দুলহ্যানিয়া লে যায়েঙে সহ একের পর এক হিট ছবি দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যান শাহরুখ খান। ৫৫ বছর বয়সের এই সুপারস্টার অভিনেতা মোট চৌদ্দবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। তার মধ্যে আটবারই সেরা অভিনেতার। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন মোট পাঁচবার।