নিউজ ডেস্ক : ২০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ৭৬ তম জন্মদিন। এদিন সকালেই ট্যুইট করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কে জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য।” পুত্র রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিলেন তিনি৷ অত্যন্ত দূরদর্শী এক মানুষের নাম রাজীব গান্ধী৷’
উল্লেখ্য ১৯৪৪ সালের ২০ শে আগস্ট বোম্বাই (বর্তমানে মুম্বাই) এ জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ইন্দিরা গান্ধী ও ফিরোজ গান্ধীর জৈষ্ঠ্ পুত্র ছিলেন রাজীব গান্ধী। তার আসল নাম রাজীব রত্ন গান্ধী। রাজনীতিতে আসার আগে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের পেশাদার বিমান চালক ছিলেন তিনি। ১৯৬৮ সালে ইতালীয় বংশোদ্ভূত সোনিয়া মাইনোরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রাজীব গান্ধী। ১৯৮৪ সালে অপারেশন ব্লু স্টারের প্রতিক্রিয়ায় আততায়ীর হাতে ইন্দিরা গান্ধী নিহত হলে জাতীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ রাজীবকেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। মাত্র ৪০ বছর বয়সে দেশের কনিষ্ঠতম প্রধান মন্ত্রী হিসাবে দ্বায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। লাইসেন্স প্রথা, শুল্ক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য অনুমতি প্রদানের নিয়মনীতি ঢেলে সাজানো,টেলিযোগাযোগ ও শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ তথা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন রাজীব গান্ধী।
১৯৮৮ সালে রাজীব গান্ধী পিপলস লিবারেশন অর্গ্যানাইজেশন অফ তামিল ইলম (পিএলওটিই) এর মতো জঙ্গি তামিল গোষ্ঠীগুলির বিরোধিতা করে মালদ্বীপের সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ করে দেন। ১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কার শান্তি প্রচেষ্টায় হস্তক্ষেপ করেন এবং পরে সেদেশে ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ করেন।
১৯৯১ সাল পর্যন্ত রাজীব গান্ধী ছিলেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি। এইবছরই তামিলনাড়ু র শ্রীপেরামবুদুরে আত্মঘাতী মানব বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর পর তাকে ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয়। (তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া)।