নিজস্ব সংবাদদাতা , ইটাহার , ০৬ অক্টোবর : করোনার থাবা এবারে ঢাকিদের মধ্যেও। বিগত বছরগুলির তুলনায় বায়না অনেকটাই কম পেয়েছেন ঢাকিরা ৷ এই পরিস্থিতিতে পেট কী করে চলবে তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না তারা। একই পরিস্থিতি ঢাক মেরামতকারীদেরও। তাদের হাতেও কাজ নেই। পুজোর মুখে এমনই চিত্র উঠে এল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকে।
এবছর করোনার কারণে শারদোৎসবের আনন্দ কার্যত মাটি হয়ে গিয়েছে। পুজো হলেও থাকছে না জাঁকজমক বা জৌলুস। সামান্য অর্থ ব্যয়ে পুজোর প্রস্তুতি চলছে বিভিন্ন জায়গাতে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই মন ভালো নেই ঢাকিদেরও। কারণ একটু বাড়তি রোজগারের আশায় তারা সারা বছর এই পুজোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। পুজোর চারটে দিন পুজো মণ্ডপে ঢাক বাজিয়ে হাতে কিছু পয়সা হাতে পান তারা কিন্তু এবছর করোনার কারণে পুজো নিয়ে তেমন কোনো উৎসাহ নেই সাধারণ মানুষের। তবে পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে ঢাক বাজানোর বায়না পেলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় যা অনেকটাই কম বলে জানালেন ইটাহার ব্লকের ঢাকিরা। একই দূরাবস্থা ঢাক মেরামতকারীদেরও। ইটাহার ব্লকের মারনাই অঞ্চলের ঢাকি পাড়া সহ ঢাকি মেরামতের দোকান রয়েছে। ঢাকিরা জানিয়েছেন সারা বছর ঢাক অবহেলায় পড়ে থাকলেও পুজোতে তার কদর বাড়ে। ঠিকঠাক বাজছে কি না তা দেখার পর কোনো সমস্যা থাকলেও দোকানে নিয়ে যেতে হয়।
এমনিতেই ঢাক মেরামতের খরচ বেড়ে গেছে। তারওপর এই করোনা কেড়ে নিয়েছে রুজিরোজগারও। অন্যদিকে ঢাকি মেরামতকারীদের বক্তব্য করোনার জেরে এবার ব্যবসা বাণিজ্য শিকেয় উঠেছে। প্রতিবছর দূর্গাপুজোর আগে অন্তত শতাধিক ঢাক মেরামতের কাজ হত। কিন্তু এবছর ঢাক মেরামতের কাজ সেভাবে নেই।