নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা সিবিআই এবং ইডি জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্যে। এই ডামাডোল পরিস্থিতির মধ্যে একশোদিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের সততা যাচাই করতে তদন্ত এল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় দলের দুই প্রতিনিধি লালন পাঠক ও বিজয় কুমার এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ প্রথমে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে আসেন
আরও পড়ুন – নদী বাঁধ থেকে বহুমূল্য গাছ উধাও , প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা
ইটাহারের বিডিও অফিসে উত্তর দিনাজপুরে অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক রবি আগরওয়াল এবং বিডিও অমিত বিশ্বাসের সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ বৈঠক করেন তারা। এরপরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বেরিয়ে যান বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্দেশ্যে। প্রথমে যান পতিরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেই গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে প্রায় ঘণ্টা খানেক বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তারা। এরপরই তারা চলে যান শ্রীধরপুর গ্রামে। সেখানে কলাবাগান এবং অন্যান্য প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তোলেন ছবিও। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে৷
আরও পড়ুন – সমাজ সেবামূলক কাজে খেতাব জয় রায়গঞ্জের সমাজকর্মীর
তবে এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সামনে পেয়ে একশো দিনের কাজে পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ জানান জব কার্ড হোল্ডাররা। তারা বলেন, একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা কোনো পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। ফলে এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির যুগে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন – শিক্ষকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেঁকে বসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক
অন্যদিকে এদিন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দুর্গাপুর অঞ্চলেও যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের।সূত্রের খবর একশোদিনের কাজে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার সহ অন্যান্য ব্লকে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ বন সৃজন প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, পুকুর খনন সহ অন্যান্য কাজে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে গ্রামগঞ্জে। যদিও এবিষয়ে অনেকেই ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ। তবে এদিনের পরিদর্শনের পর জেলার তদন্ত রিপোর্ট কি উঠে আসে এখন সেদিকেই নজর গ্রামবাসীদের৷