নিজস্ব সংবাদদাতা , চাঁচল , ১৩ ডিসেম্বর : বিভিন্ন সময়ে নানান সভা ও অনুষ্ঠানের ফলে আবর্জনা ও জঞ্জালে ভরে গিয়েছে চাঁচলের ফুটবল স্টেডিয়ামটি। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় প্রাতঃভ্রমণকারী ও ক্রীড়াবিদদের। এনিয়ে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে বহুবার অভিযোগও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।কিন্তু স্টেডিয়ামটি আবর্জনামুক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছিল এলাকাবাসীদের মধ্যে।
ফলে রবিবার সকালে ঝাড়ু কোদাল নিয়ে জঞ্জাল সাফ করতে নেমে পড়লেন খোদ মহকুমাশাসক ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা। উল্লেখ্য এর আগেই এক প্রশাসনিক বৈঠকে চাঁচল স্টেডিয়ামটির সার্বিক সৌন্দর্য্যায়ণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিছুদিন আগেই স্টেডিয়ামে বসানো হয় হাইমাস্ট ল্যাম্প।কিন্তু আবর্জনা ভরে থাকায় ব্যাহত হচ্ছিলো সেই প্রচেষ্টা। ফলত এদিন স্টেডিয়াম সাফাই করতে হাত লাগান মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল, বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য ও চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ। এই প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, পঞ্চায়েত কতৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় সকলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এদিন আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রশাসনের আধিকারিকেরা শুধু নয় এই স্টেডিয়াম চত্বর সাফাই করতে হাত লাগিয়েছেন এলাকার যুবক থেকে শুরু করে প্রাতঃভ্রমণকারীরাও।আগামীতেও যাতে স্টেডিয়াম আবর্জনা না ফেলার জন্য এলাকাবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন মহকুমাশাসক। অন্যদিকে চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, এদিন মহকুমাশাসক, বিডিও, পঞ্চায়েত দফতরের সহযোগীতায় এই স্টেডিয়াম চত্বর আবর্জনামুক্ত করা হয়। আবর্জনা না ফেলবার জন্য স্থানীয়দের সচেতনও করা হয়েছে এদিন। পাশাপাশি স্টেডিয়াম প্রহরার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার। আগামীদিনে এখানে আবর্জনা ফেলা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সুকুমার ঘোষ। অন্যদিকে প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশী প্রাতঃভ্রমণকারী থেকে স্থানীয়রা। আধিকারিকদের এই পদক্ষেপে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করেছেন স্থানীয়রা।