নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ১৯ নভেম্বর : কালীপুজোর রেশ কাটতে না কাটতে এবারে চলে এলো ছট পুজো। সারা দেশের সঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলার পুণ্যার্থীরাও সামিল হবেন ছট পুজোতে৷ তাই কয়েকদিন ধরেই ছট পুজোর প্রস্তুতিতে সামিল হয়েছেন তারা। উল্লেখ্য আগে ছট পুজো হিন্দিভাষী বা পশ্চিমী সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তা সর্বজনীন রুপ নিয়েছে।
হিন্দিভাষী তথা পশ্চিমী সম্প্রদায়ের মানুষের প্রধান উৎসব ছট পুজো। বর্তমানে এই পুজো আর পশ্চিমী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যেও ছট পুজো ঢুকে পড়েছে। প্রতিবছর ছট পুজো ঘিরে উৎসবের আবহ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ধুমধাম করেই ছট পুজোতে মেতে ওঠেন তারা। তবে এবছর করোনা আবহের জেরে পুজোর জৌলুস আগের মতো আর নেই। তা সত্ত্বেও সূর্য দেবতা বা ছট মায়ের আরাধোনার খামতি রাখতে চান না পুজোর উদ্যোক্তারা। সাধ্যের মধ্যে পুজোর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। শুক্রবার বিকেল ও শনিবার সকালে ছট পুজো। তাই পুজোর কেনাকাটা করতে বাজারমুখী ছট পুজোর আয়োজকরা ৷ বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ মোহনবাটি বাজারে পুজোর উপকরণ কিনতে পুজো আয়োজকদের ব্যাপক সমাগম লক্ষ্য করা যায়। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারও জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী৷ পুজোর প্রধান উপকরণ নারকেল, কলা বাতাবি লেবু থেকে শুরু করে অন্যান্য ফলের দাম বেশ চড়া। পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য পুজোর উপকরণের দাম অন্যান্যবারের তুলনায় বেশি। মুল্যবৃদ্ধির দাপট থাকলেও পরিবারের কল্যানে ছট পুজো করতেই হবে। শুক্রবার বিকেলে অস্তমিত সূর্য অর্ঘ্য নিবেদন করে পুজোয় মেতে উঠবেন ছট পুণ্যার্থীরা। তাই তার আগে পূজোর সমস্ত উপকরণ নিয়ে পসার সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারাও। বর্তমানে বাজারে প্রতিটি জিনিসই অগ্নিমূল্য। নতুন করে পুজোতে জিনিসের দাম বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই বলা যায় লক্ষ্মী পুজোর পরে ছট পুজোতে অব্যাহত রইল মূল্যবৃদ্ধির দাপট।