নিউজ ডেস্ক, ২৩ সেপ্টেম্বর : অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ পড়ল চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেলবীজ, ভোজ্য তেলের মতো কৃষিপণ্যের নাম। সাড়ে ছয় দশকের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে সংশোধনী পাশ করিয়ে নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর লোকসভায় পাশ হওয়ার পর বুধবার রাজ্যসভাতেও ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় এই বিল। এর ফলে এই পণ্যগুলির উৎপাদন, মজুতদারি, রপ্তানি এবং বিক্রি – কোনও ক্ষেত্রেই সরকারের কোনও বিধিনিষেধ বা নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ফলে অবৈধ ভাবে মজুদ করে কৃত্তিম ভাবে দাম বাড়তে পারে এই সব পণ্যের। তবে, কোনও জরুরি বা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সরকার চাইলে এই পণ্যগুলির মজুতদারি ও মূল্যবৃদ্ধির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে।
এই নতুন বিল নিয়ে সরকারের দাবি, এর ফলে এই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার খুলে যাবে। কর্পোরেট থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ীরাও এই কৃষিপণ্যগুলিতে বিনিয়োগ করতে পিছপা হবে না। এছাড়াও কৃষকরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের উৎপাদিত পণ্যের জন্য আরও বেশি দাম পাবেন। স্বাধীনতার আট বছর পর ১৯৫৫ সালে চালু হয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন। সেই আইন সংশোধনের সূত্রপাত হয়েছিল করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ প্রকল্পের ঘোষণার সময়। গত ৫ জুন এই সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেছিল কেন্দ্র। সেই সংশোধনী রাজ্যসভায় পাশের পর রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষায়। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে, অর্থাৎ সংশোধিত হবে ১৯৫৫ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন।
যদিও, বিরোধী শিবিরের দাবি, এই বিলটি পাশ হওয়ার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলির বাজার পুরোপুরি পুঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। তাঁরা ইচ্ছেমতো কম দামে কৃষিপণ্য কিনবে এবং মজুত করে রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকটের পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। মানুষ বাধ্য হবেন চড়া দামে সেগুলো কিনতে। ফলে কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, মধ্যবিত্তের পকেটেও টান পড়বে।