নিউজ ডেস্ক , ১৬ নভেম্বর : প্রায় তিনদশক ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল রাস্তা। ফলে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে মালদার গাজোলের চাকনগর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা। অবিলম্বে বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল চলাচলের মূল সড়কপথ। ফলে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চলাচলকারী।
এঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে মালদার গাজোলের চাকনগর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। অভিযোগ, সংস্কারের অভাবে বেহাল গাজোলের দেওতলা থেকে চাকনগর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়কপথ।উঠে গিয়েছে পিঁচের চাদর। বেড়িয়ে পড়ছে ভেতরের পাথর। নিকাশি না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায় রাস্তার বিভিন্ন অংশে।এই সড়ক দিয়েই গাজোল,মালদা সহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে হয় স্থানীয়দের।ফলে বেহাল এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে চলাচলকারীদের।এমনকি প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা।প্রশাসনের কাছে একাধিকবার এ সমস্যার কথা বলা হলেও রাস্তাটি সংস্কার করার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।ভোটের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তার বেহাল দশা ঘোঁচেনি।
৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের
ফলে এনিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে।যদিও বিজেপি পরিচালিত চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিপু ওরাওঁ জানিয়েছেন, রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে পঞ্চায়েত থেকে বহুবার ব্লক প্রশাসন, জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু শাসকদল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলা পরিষদ কোন ভ্রুক্ষেপ করেনি। রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া না হলে আগামীতে জেলা পরিষদ ও জেলাশাসকের দফতর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তবে রাস্তা সংস্কারে শাসকদলের উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। এলাকায় রাস্তা সংস্কারে বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ককে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাস্তা সংস্কারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মোজাম্মেল হোসেন।