নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ০৩ নভেম্বর : পরিযায়ি পাখিদের জন্য রায়গঞ্জ বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু কাক পাড়া বা কাইয়া পাড়াও যে রয়েছে রায়গঞ্জ শহরে তা অনেকেরই অজানা। কুলিক নদীর ধারেই অবস্থিত এই কাকপাড়া। তবে এই কাকেদের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকার মানুষ। কাক তাড়াতে গাছ কাটা সহ একাধিক পন্থা অবলম্বন করেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি।
সাধারণত যে সমস্ত এলাকায় নোংরা আর্বজনা থাকে সেখানেই কাক দেখা যায়। কিন্তু এখানে একেবারেই তার উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা যায়। রায়গঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কুলিক নদীর পারেই রয়েছে এই কাক পাড়া। এলাকা সুত্রে জানা যায়, এক সময় এখানে কোন জনবসতি ছিল না। পুরোটাই ছিল গাছ আর গাছ। আর সেই গাছেই বসত কাক এবং বক। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে তৈরী হয়েছে জনবসতি। বেশ কিছু মৃৎশিল্পী এখানে বসতি স্থাপন করেছেন এবং পরবর্তীতে এই এলাকার নতুন নামকরণ করা হয় উত্তর পালপাড়া। এই কাক পাড়ায় প্রায় ৮০ টি পরিবারের বসতি রয়েছে। সারাদিন এলাকায় সেভাবে কাকের দেখা না মিললেও বিকেল চারটে বাজতে না বাজতেই এলাকায় হাজির হয় হাজার হাজার কাক। আবার ভোর হতেই এলাকা ছেড়ে এদিক ওদিক চলে যায় তারা। তবে কাকেদের কর্কশ আওয়াজে এলাকায় কানপাতা দায় হয় এলাকাবাসীর।
এতকিছু অসুবিধা সত্বেও কাককে সঙ্গী করে জীবন যাপন করতে হচ্ছে কাক পাড়ার বাসিন্দাদের। পশু প্রেমী সংগঠনের দাবি, কুলিক নদী সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে পৌরসভার ভাগার। সেখানে খাবার খেয়েই নদী সংলগ্ন এলাকায় তারা বাসা বাধছে। বংশ পরমপরায় কাক গুলো ওই এলাকায় থাকছে, যা জনজীবনের পক্ষে খুবই উপকারী। কারন কাককে স্কেভেঞ্জার পাখি বলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পূর্ব পুরুষের আমল থেকে এখানে কাক বাসা বাধছে। আজও সেই পরমপরায় চলছে। হাজার চেষ্টা করেও এই কাকেদের এলাকাছাড়া করা সম্ভব হয় নি তাই কষ্ট করে হলেও এদের নিয়েই পাড়ায় থাকতে হচ্ছে।