নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ১৬ ডিসেম্বর : বয়সের ভারে নুব্জ শরীর, স্বামীর দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি নিভে গিয়েছে,স্ত্রী হারিয়ে ফেলেছে স্বাভাবিক চলাফেরা করার ক্ষমতা-প্রচন্ড ঠান্ডায় ভাঙা কুটিরের মেঝেতে কোনোমতে টিকে রয়েছে রায়গঞ্জ ব্লকের বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাসমানা গ্রামের বৃদ্ধ বর্মন দম্পতির প্রানস্পন্দন।
জোটে নি কোনো সরকারী সাহায্য, পাড়াপ্রতিবেশী ও আত্মীয়দের দেওয়া নুন ভাত খেয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে রামপ্রসাদ বর্মন ও তার স্ত্রী বীনা বর্মনের।
উল্লেখ্য প্রায় দুদশক আগে চোখের সমস্যা ধরা পরে বাসমানা গ্রামের বাসিন্দা রামপ্রসাদ বর্মনের। অর্থাভাবে সঠিক চিকিৎসা করাতে না পারায় একটা সময় দুটি চোখই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। স্ত্রী বীনা বর্মনের শরীরেও বাসা বেঁধেছে নানান অসুখ, বর্তমানে চলাফেরার শক্তি টুকুও হারিয়েছেন তিনি। দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় উপার্জনের সব রাস্তা বন্ধ। ভাঙা ঘরের মধ্যে খড় বিছিয়ে তীব্র শীতে দিন গুজরান করছেন এই দম্পতি। রামপ্রসাদ বাবু বলেন, ” দৃষ্টিশক্তি না থাকায় এবং শারীরিক সমস্যার কারনে আমরা কেউ কাজ করতে পারিনা। পাড়াপ্রতিবেশীরা যে খাওয়ার দেয় তাই খেয়ে বেঁচে আছি। কোনো রকমের সরকারী সাহায্য পাই নি। ” পাড়া প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন,” এই দম্পতি চলাফেরা করতে পারে না। যে যেটুকু খাবার দেয় তাই খেয়ে বেঁচে আছে। কেউ সাহায্য করে না। ” অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মীনা বর্মন বলেন,” এই বৃদ্ধ দম্পতি এসেছিল আমার কাছে, তখন খাওয়ার জন্য চাল দেওয়া হয়েছিল। তবে ওনারা কোন ভাতা পাচ্ছেন না। সামনেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচী র শিবির রয়েছে এলাকায়,সেখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় ভাতার ব্যাবস্থা করে দেওয়া হবে।