নিউজ ডেস্ক , ১১ অক্টোবর : ভারতের স্বাধীনতা লাভের নানান ফলশ্রুতিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বর্নাশ্রম তথা জাতপাতের ভেদাভেদ দূরীকরণ। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী দলিতদের নাম দিয়েছিলেন হরিজন বা ঈশ্বরের সন্তান।কিন্তু স্বাধীনতার সাত দশক কেটে গেলেও ভারতীয় সমাজব্যবস্থায়য় এখনো বিদ্যমান উচ্চ ও নিম্নবর্ণের ভেদাভেদ। সমাজের বিভিন্ন স্তরে জাতপাত, শ্রেণি বর্ণের বিভাজনমূলক চিন্তাভাবনা বিরাজমান।
যার ছবি দেখা যায় নীচু স্তর থেকে প্রশাসনিক মহল অব্দি। বর্তমান ভারত যখন পৃথিবীর গন্ডি ছাড়িয়ে মঙ্গল কিংবা চাঁদে উপগ্রহ পাঠাচ্ছে, সময়ের সেই সন্ধিক্ষণে দাড়িয়ে দলিত হওয়ার অপরাধে প্রশাসনিক বৈঠকে এক পঞ্চায়েত প্রধানের স্থান হল মাটিতে। তথাকথিত নীচু জাত হওয়ার অপরাধে তামিলনাড়ুর কাড্ডালোর জেলার মেল ভুবনাগিরি ব্লকের ঠেরকু থিত্তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধানকে মাটিতে বসেই অংশ নিতে হয়েছে সরকারি বৈঠকে।যদিও বাকী উচ্চবর্ণের আধিকারিকেরা বসেন চেয়ারে।সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি।জাতিগত বিভাজনের এই ছবি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এটাই প্রথম নয়, এর আগে বহুবার দলিত হওয়ার অপরাধে বৈষম্যর শিকারর হতে হয়েছে প্রধান রাজেশ্বরী সরলা কুমারকে। অনেক সময়ে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে পারেননি তিনি।পাননি জাতীয় পতাকা তোলার অনুমতি।
উল্লেখ্য তামিলনাড়ুতে জাতপাতের বৈষম্য প্রবল আগাগোড়াই। কিন্তু একবিংশ শতকে এর শিকড় কতটা গভীরে প্রোথিত তার প্রমাণ এই ছবি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন।এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ওই পঞ্চায়েতের সচিবকে সাসপেন্ড করেছে কাড্ডালোরের জেলাশাসক চন্দ্রশেখর শাখামুরি। দেওয়া হয়েছে তদন্তের নির্দেশ।