নিউজ ডেস্ক, রায়গঞ্জ, ২৩ সেপ্টেম্বর : দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় বর্ষাকালে সাপ পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দিয়েছে রায়গঞ্জের উদয়পুরে অবস্থিত প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের চত্বরে থাকা সরকারি কর্মীদের আবাসনগুলিতে। ফলে কখনও কখনও আশপাশের বাড়িগুলিতেও ঢুকে যাচ্ছে সাপ পোকামাকড়। এঘটনায় আতংকিত তাঁরা। অবিলম্বে আবাসন গুলি সংষ্কার করার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রায়গঞ্জের উদয়পুরেই রয়েছে ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের দপ্তর৷ এই দপ্তরের সাথেই রয়েছে কর্মীদের আবাসনও। কিন্তু দপ্তরের আশেপাশে জঙ্গল থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে সাপ পোকা মাকড়ের উৎপাত রয়েছে। এঘটনায় দপ্তরের যে সমস্ত কর্মী আবাসনে থাকতেন তারা আতঙ্কে আবাসন গুলি ছেড়ে দেন অনেক দিন আগেই। পরিবর্তে অন্য স্থানে তাঁরা থাকতে শুরু করেন। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই আসনগুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় আগাছা ও জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। আর বর্ষাকালে সেখানে দেখা দিয়েছে বিষধর সাপের উপদ্রব। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
কারণ মাঝে মধ্যেই যখন তখন তাঁদের বাড়িতেও ঢুকে যাচ্ছে সাপ পোকামাকড়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই আবাসন গুলিতে এক সময় কর্মীরা থাকতেন। কিন্তু সাপের উপদ্রবের কারণে এখন সেখানে কোনো কর্মী থাকেন না। বর্তমানে আবাসনের চারদিকে জঙ্গল আর গাছগাছালিতে ভরে গিয়েছে৷ প্রয়োজনীয় সংষ্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থা আবাসন গুলির ঘর। খসে পড়ছে দেওয়ালের পলেস্তরা৷ কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত দাস বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা যদি এখানে নিয়মিত হয় তাহলে বিল্ডিংগুলির ব্যবহার সম্ভব। পাশাপাশি যারা বাইরে থেকে বিভিন্ন কাজে জেলায় আসছেন তাঁদেরও থাকার ব্যবস্থা এখানে করা যেতে পারে।
এবিষয়ে দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে শীঘ্রই তিনি কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। অন্যদিকে প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের অধিকর্তা দিব্যেন্দু বিকাশ কর্মকার জানিয়েছেন, প্রয়োজনের তুলনায় বর্তমানে দপ্তরে কর্মী সংখ্যা কম রয়েছে। সেকারণেই আবাসনগুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে আবাসনগুলির সংস্কারের ব্যাপারে পূর্ত দপ্তরের কাছে তারা ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। সংস্কার হলেই কর্মীরা থাকতে পারবেন।