আরসিটিভি সংবাদ :আইনি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া কোচবিহার জেলার টাপুরহাটের বাসিন্দা নাবালক লাবু ইসলামের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি কোরক হোমের আবাসিক এই নাবালককে গলায় ফাঁস লাগলো অবস্থায় হোমের একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পরায় সার্কিট বেঞ্চের, ডিভিশন বেঞ্চের ভৎসনার মুখে পড়তে হয় তদন্তকারী অফিসারকে।
আরও পড়ুন-বন্ধুর জীবন বাঁচাতে কৌটো হাতে রাস্তায় নামল বন্ধুরা
যারমধ্যে ময়না তদন্তের রিপোর্টে বয়স ভুল। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করার নিয়ম থাকলেও সেটা করা হয়নি। এই রকম একাধিক অসঙ্গতি সামনে আসার পরেই এদিন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআইকে।সমস্ত রিপোর্ট এপ্রিল মাসের ৩ তারিখের মধ্যে দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে আদালতের এই নির্দেশে খুশি মৃত নাবলকের পরিবার।মৃত নাবালক লাবু ইসলামের মা সাহিদা বিবি জানিয়েছেন, আদালতের রায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশে আমি ভীষণ খুশী। আমার ছেলেকে হোমে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল। ছেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও পুলিশ রিপোর্টে তা উল্লেখ করেনি। পুলিশ আড়াল করার চেষ্টা করেছে। সিবিআই তদন্তে আমার ছেলের মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে।
আরও পড়ুন-চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা
সার্কিট বেঞ্চের সহকারি সরকারি আইনজীবী অদিতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন এই মামলায় সিবিআই তদন্তের কোনও দাবি ছিল না। এই ঘটনায় যে সমস্ত অথরিটি আছে তারা তাদের দায়িত্ব ঠিক ঠাক পালন করেছে কিনা সেই বিষয়ে আদালত নিজস্ব একটা তদন্ত করেছে। আদালত নাবালকের মায়ের সাথে কথাও বলেছে। তারপরেই আদালত একটি নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন এই ঘটনা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মৃত নাবালকের দেহ কবর থেকে তুলে পুনরায় সিবিআই ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়না তদন্তের নির্দেশের কথা বলা হয়েছে। এই নির্দেশের বিষয়ে সিবিআই এর সাথে যোগাযোগের জন্য আদালতের রেজিস্টারকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে লাবু ইসলামের আইনজীবী সুমন শেহানবিশ বলেন এই ঘটনার তদন্ত এবং ময়না তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে অসঙ্গতি কথা গতকাল আদালতে বিচারপতিদের সামনে তোলা হয়েছিল। সেই অনুসারে আজ আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।