সেতুর অবস্থা বিপজ্জনক, তা সত্ত্বেও চলছে যানবাহন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা গ্রামবাসীদের

নিউজ ডেস্ক, ১২ সেপ্টেম্বর :  প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিপজ্জনক অবস্থা উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থেকে রামপুরে যাওয়ার ঘোড়া মারা খালের উপর থাকা সেতুটির। ফলে প্রাণের ঝুঁকি চলাচল করছে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সেতুটির অবস্থা এতটাই বেহাল যে যেকোনো সময় সেটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা৷

এটি হচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থেকে রামপুরে যাওয়ার রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে যেতে হলে আপনাকে ঘোড়ামারা খালের এই বেহাল সেতু দিয়েই যেতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংষ্কারের অভাবে সেতুটি ক্রমশঃ জরাজীর্ণ অবস্থা। ফলে জেলা প্রশাসন থেকে সেতুর দূর্বলতার কথা উল্লেখ করে সেখানে একটি বোর্ড লাগানো হয়েছে। সেতুতে উঠার আগে চোখে পড়বে এই বোর্ডটি। কিন্তু সেই সাবধানতার বার্তাকে উড়িয়ে বিপজ্জনক সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে প্রতিদিন। যাত্রীবাহী বাস, ট্রেকার, অটো সহ অন্যান্য যানবাহন রীতিমতো চলাচল করছে।

সাধারণ মানুষের বক্তব্য চাকুলিয়ার কালিবাড়ী হয়ে রামপুরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে গিয়ে মিলিত হয়েছে এই রাস্তাটি। পাশাপাশি রামপুর থেকে আবার গোয়ালপোখর দুই ব্লকের হাসপাতাল ও থানায় আসতে হলে এই সেতুর উপর দিয়েই চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীদের। দুই বছর আগে বর্ষায় এই সেতুর দুই ধারে মাটি ভেসে চলে যায়।৷ এবছরেও বেশকিছু দিন আগে সেতুর ধারে মাটি ভরাট করা হয়েছিল কিন্তু এই বর্ষাতেও মাটি ধসে যাওয়ায় সেতুর কংক্রিটের খুঁটি বা পিলারের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। এব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে গাড়ি চালকদের বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরেই এই সেতুটির অবস্থা বিপজ্জনক।

সেতুর দু’পাশের রেলিংয়ে কঙ্কালসার চেহারা বেড়িয়ে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দুর্ঘটনা ঘটার আগে এই সেতুর বিকল্প দ্বিতীয় সেতু তৈরির দাবি তুলেছেন তারা। সেতু দিয়ে নিত্যদিন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা গ্রামবাসীরাও প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগে সরব হয়েছেন। এব্যাপারে স্থানীয় বিধায়ক আলি ইমরান রমজ অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের কাটমানি জন্য সেতু তৈরি হচ্ছে না এলাকায়। একারণে ঠিকাদাররা এলাকায় কাজ করতে পারছে না।

নেতাদের কাটমানি না দিলে কাজে বাধা দেওয়া হয। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নের কাজ। অন্যদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা চাকুলিয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মিনাজুল আরফিন আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিধায়ক পদে থাকলেও আলি ইমরান রমজ কোনো কাজই করেন নি। যা উন্নয়নের কাজ হচ্ছে সবটাই বর্তমান তৃণমূলের সরকারের আমলে। তাঁর অভিযোগ, রাস্তা তৈরি করার সময় এলাকার বিধায়ক ঠিকাদার সংস্থার কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করেন৷ ফলে বহুদিন ধরেই কাজ বন্ধ ছিল। কাটমানি না মেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বিধায়ক।

Next Post

বিকল কিডনী! মৃত্যুপথ যাত্রী রায়গঞ্জের এক তরুন

Sat Sep 12 , 2020
নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ :  জীবন চলছিলো স্বাভাবিক ছন্দেই। বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী আর ছোট সন্তান কে নিয়ে অনেক না পাওয়ার যন্ত্রনার মধ্যেও বেশ ভালোই চলছিলো সংসার। তবে আকষ্মিক ছন্দপতন ঘটে যায় শুভঙ্কর রায়ের জীবনে। মাত্র ৩২ বছর বয়সে দুটো কিডনীই অকেজো হয়ে গিয়েছে তার। আর্থিক সংকটের কারনে সামর্থ্য নেই প্রয়োজনীয় […]

আপনার পছন্দের সংবাদ