নিউজ ডেস্ক, ১৩ জুলাই : নির্বাচন পরবর্তী হিংসা মামলায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চ কলকাতার কমান্ড হাসপাতালকে এই নির্দেশ দিয়েছে।মঙ্গলবার হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, অভিজিতের দেহ শনাক্ত করার জন্য DNA পরীক্ষা করা আবশ্যক।
এই পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করবে কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতাল এবং সংগৃহীত নমুনা পাঠানো হবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় হবে নমুনা সংগ্রহ। মুখবন্ধ খামে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিতের দেহ শনাক্ত করা যায়নি বলে হাই কোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিল তাঁর পরিবার। ফলে তাঁর দেহ এখনও সৎকার হয় নি। কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়েই মামলা চলছে হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।প্রসঙ্গত, ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই উদ্ধার হয় কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ। তাঁর পরিবার অভিযোগ করে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে অভিজিৎকে। গত ২ জুলাই হাই কোর্ট অভিজিতের দেহ দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদালতে অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার জানান, তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাঁরা নিশ্চিত হয়ে পারছেন না যে মৃতদেহটি অভিজিতেরই। তার পরেই এই নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশণকে তদন্তের নির্দেশ দেয় বৃহত্তর বেঞ্চ। গত কয়েকদিন আগে মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট অর্ধেক জমা দেয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার শুনানিতে বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠিত বিশেষ কমিটি। একেবারে খামে বন্ধ অবস্থায় সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জুলাই।