নিউজ ডেস্ক , ৭ ডিসেম্বর : দাবী আদায়ে বারংবার প্রতীকি আন্দোলন করেও কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে বৃহত্তর আন্দোলনে নামলেন রায়গঞ্জ পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে সামিল হলেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গতঃ রায়গঞ্জ পৌরসভার অধীনে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে কর্মীর সংখ্যা ৮০০। ১৬৯ জন পেনশন ভোগী রয়েছেন। অভিযোগ, বিগত ২ মাস ধরে অস্থায়ী কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। ৩ মাস ধরে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন বন্ধ। এরই প্রতিবাদে গত কদিন ধরেই আন্দোলন চলছে রায়গঞ্জ পৌরসভায়। দফায় দফায় হয় গেট মিটিং। বুধবার ১ ঘন্টার জন্য পেনডাউন কর্মসূচি পালিত হয়। কিন্তু তারপরেও কোনো সমাধানসূত্র না বেরোনোয় সিদ্ধান্ত অনুসারে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে সামিল হন তারা। এই কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন INTTUC অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ পৌর কর্মচারী ফেডারেশনের রায়গঞ্জ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক শম্ভু ঘোষ। তিনি জানান, মোট ৪ টি দাবী রয়েছে।
১) অস্থায়ী কর্মীদের অবিলম্বে বকেয়া বেতন মেটাতে হবে।
২) অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীদের বকেয়া পেনশন মেটাতে হবে।
৩) গ্রাচুইটি প্রায় ৩ কোটির মত বকেয়া, তা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।
৪) বকেয়া পুজো বোনাস (২৫০০ টাকা) মেটাতে হবে।
শম্ভুবাবু জানান, পৌরসভা পুজোর আগে পুজো বোনাস হিসেবে প্রথম ধাপে আড়াই হাজার টাকা দিয়েছিল। পরে বাকী টাকা এখনও মেটানো হয়নি। তাতে আরও ক্ষোভ জমেছে অস্থায়ী পৌরকর্মীদের মধ্যে। স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন জারি থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। উল্লেখ্য, কর্মবিরতি চললেও পানীয় জল, স্বাস্থ্য,এম্বুলেন্স, স্বর্গরথ, শৌচসলয় সহ বেশ কিছু জরুরি পরিষেবা সচল থাকছে বলে জানানো হয়েছে সংগঠনগত ভাবে। এবিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম রায়গঞ্জ পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসের সাথে। তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের দাবী যুক্তিযুক্ত। খুব দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।এদিকে অস্থায়ী কর্মী আন্দোলনের জেরে প্রভাব পড়ছে নগর পরিষেবায়। সমস্যায় পরতে হচ্ছে শহরবাসীকে।