নিউজ ডেস্ক, ১৪ নভেম্বর : পাক গোলাবর্ষণ হামলায় শহিদ হলেন সেনায় কর্মরত বাংলার ছেলে সুবোধ ঘোষ। দীপাবলির পরেই ডিসেম্বরের ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিল তাঁর। যদিও তার আগেই নিভে গেল জীবনের স্পন্দন। দুঃসংবাদ পৌঁছাতেই নদিয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুর গ্রামের বাড়িতে এখন শুধুই কান্নার রোল। শোকস্তব্ধ প্রতিবেশিরা।
ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চাও করত সুবোধ। সেই কঠোর পরিশ্রমের সুবাদেই প্রায় চার বছর আগে নিজের যোগ্যতাতে অল্প বয়সে সেনাবাহিনীতে (Indian Army) চাকরি পায় সুবোধ। গত বছর ধুমধাম করেই বিয়ে হয় তাঁর। বর্তমানে তিনমাসের কন্যাসন্তানও রয়েছে সুবোধের। চলতি বছর জুলাই মাসে মাত্র ৪০ দিনের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিল সুবোধ। ছুটি শেষ হওয়ায় ফের দায়িত্ব পালনে কাজে যোগ দিতে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেই শেষ৷ আর ফেরা হয়নি৷ তবে ডিসেম্বরে বাড়িতে ফিরবে বলে মাকে জানিয়ে ছিল সুবোধ। কিন্তু আর ফেরা হল না। পাকিস্তানের দিক থেকে ছুটে আসা গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে মৃত্যু হল তরতাজা যুবক সুবোধের। কফিন বন্দি হয়ে বাড়িতে ফেরার অপেক্ষায় গোটা গ্রাম। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামজুড়ে এখন শুধু নিস্তব্ধতা৷ বাড়িতে কান্নাররোল। সুবোধের মা বাসন্তী ঘোষ বলেন,শুক্রবার বিকেলে অপরিচিত একজন জানান সুবোধ আর নেই। পাকিস্তানের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছে।” সুবোধের স্ত্রী অনিন্দিতা ঘোষ স্বামীর মৃত্যু কিছুতেই যেন মানতে পারছেন না। শোকবিহ্বল হয়ে বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন তিনি। জানা গেছে শুক্রবার বাড়ি থেকে একাধিকবার সুবোধকে ফোন করেও হদিশ পান নি পরিবারের সদস্যরা। সুইচড অফ ছিল। পরে বিকেল নাগাদ কাশ্মীর থেকে দুঃসংবাদ পান তাঁরা। উল্লেখ্য এদিন আচমকাই যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। ঘটনায় ৫ সেনা জওয়ানের পাশাপাশি কয়েকজন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে৷ পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় জওয়ানেরাও। কালী পুজো ও দীপাবলির আগে এই রক্তপাত করে নিজের কাপুরুষোচিত চরিত্র আরও একবার বিশ্বের কাছে তুলে ধরল সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়দাতা পাকিস্তান।