আরসিটিভি সংবাদ :পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করছেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের সময় তিনি জানান, ”আমাদের পূর্ণাঙ্গ সরকারি ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। ৩ লক্ষ ৭১ হাজার দুয়ারে সরকারের শিবির আয়োজিত হয়েছে।
আরও পড়ুন – সেতু সংযোগকারী রাস্তার দাবী
এরফলে ৯ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। বাংলায় আর্থিক বৃদ্ধি ৮.৪১ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণদান, গ্রামীণ আবাস প্রকল্পে আমরা দেশের মধ্যে শীর্ষে। মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস। জিএসটি রিটার্ণ জমা ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশে পৌঁছিয়েছে। জিএসটি রাজস্বের বৃদ্ধির হার ২৪.৪৬ শতাংশ, যা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রের তুলনায় অনেকটাই বেশি। স্ট্যাম্প ডিউটি আগেই কমানো হয়েছে। ফলে ৪৪ লক্ষের বেশি ছোট ফ্ল্যাট মালিক উপকৃত হয়েছেন। অনগ্রসর ওবিসি পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি ঘোষণায় উপকৃত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।” এবারের বাজেটে উল্লেখযোগ্যভাবে বিধায়কদের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বানতলা লেদার হাবে আরও ৩ লক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করার উল্লেখ করা হয়েছে এবারের বাজেটে। গ্রামীন সড়ক উন্নয়নে এবারের বাজেটে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ” রাস্তাশ্রী ” প্রকল্পের মাধ্যমে ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে রাজ্যে মোট ১.৮৮ কোটি মহিলাকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আনার পাশাপাশি তাঁদের ষাট বছর পার হলে বার্ধক্য ভাতার আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে এবারের বাজেটে।
আরও পড়ুন – দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন
১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সি যুবক-যুবতীদের জন্য কম সুদে ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল এই বাজেটে। প্রকল্পের নাম ‘ভবিষ্যত্ ক্রেডিট কার্ড’। এই প্রকল্পের মাধ্যেমে ৫ লাখ পর্যন্ত ব্যাঙ্ক থাকে আর্থিক ঋণ নিতে পারবেন যুবক-যুবতীরা। বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাজেটে বলা হয়েছে, ২ লক্ষ যুবক-যুবতী এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবেন। ব্যাঙ্ক থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন তাঁরা। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে। শুধু তাই নয়, ১৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্যারান্টিও প্রদান করবে সরকার।
আরও পড়ুন – ৮ বছরেও ফিরল না রাস্তার হাল !
বাংলার যুব সমাজ যাতে বেকার না থাকে তাই এই প্রকল্প আনা হয়েছে বলে জানানো হয় সরকারের তরফ থেকে।পাশাপাশি আর্থিক বৃদ্ধি নিয়েও বড় বার্তা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪১ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমনিতেই একাধিক বরাদ্দ না মেলার জন্য বারবার কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছে রাজ্য। আজও তার ব্যতিক্রম হল না। বাজেট পেশের মাধ্যমে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আবার অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে গরিব মানুষের জীবনে।