নিউজ ডেস্ক , ২০ ডিসেম্বর : নতুন সংসদ ভবনে মুখোমুখি মমতা বন্দোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের পাওনা আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মমতার সঙ্গী আরও ১০ তৃণমূল সাংসদ। নতুন সংসদ ভবনে মুখোমুখি মমতা বন্দোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের পাওনা আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মমতার সঙ্গী আরও ১০ তৃণমূল সাংসদ। ২০ মিনিটের আলোচনায় রাজ্যের দাবি পেশ মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যের বকেয়া ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা। সমস্যা মেটানোর আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর। কেন্দ্র ও রাজ্যের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর।
প্রতিবেশী যুবকের মারে গুরুতর আহত বৃদ্ধ
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন,তখন নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে ঝটিকা সাক্ষাৎকারে হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লী সফরকে নাটক বলে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷
রাস্তার কাজের সূচনা কে করবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের তরজা
বুধবার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে আচমকাই নবান্নে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিবের দেখা করেন। নবান্ন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন যতই মমতা দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দরবার করতে যান, রাজ্যে বিজেপি এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়বে না তৃণমূলকে ৷এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ, চন্দনা বাউরী ও বিশাল লামা।নবান্ন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নবান্নে ১৪৪ ধারা জারি আছে,তাই চারজন বিধায়ককে নিয়ে এখানে এসেছিলাম।মুখ্যসচিবকে ফোন করেছিলাম দেখা করতে চাই বলে। উনারা দেখছি, বলছি করছিলেন ৷ আমরা আর অপেক্ষা করিনি।
আন্তঃ জেলা অনুর্ধ্ব ১৫ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা,প্রথম খেলায় জয়ী হুগলী ও উত্তরদিনাজপুর
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দিল্লিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের আর্থিক বঞ্চনার কথা বলছেন।আর এখানে জনগণকে বঞ্চিত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” শুভেন্দু আরও বলেন, “মুখ্যসচিবের মাধ্যমে সরকারকে আজ বার্তা দেওয়া হল৷পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলকে ভোট দিলে ঘরছাড়া হতে হয়,পঞ্চায়েত ভোট লুট হয়।বিরোধী দল করলে আবাস যোজনার ঘর, নলবাহিত জল, বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয় না।এই সরকার আসলে ফর দ্য পাটি, অফ দ্য পার্টি ও বাই দ্য পার্টি।ফর দ্য ফ্যামিলি, বাই দ্য ফ্যামিলি, অফ দ্য ফ্যামিলি চলছে । দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার এটা।এই সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকার কত টাকা দিয়েছে। টাকা কীভাবে নষ্ট হয়েছে, তার তালিকা এখানে আমরা দিয়েছি।সাম্প্রতিক অতীতের কার্শিয়াং, শিলিগুড়িতে বানারহাটে মুখ্যমন্ত্রী যে প্রশাসনিক ডিস্ট্রিবিউশন করেছেন, সেখানে বিরোধী এমএলএ-দের তিনি ডাকেননি।এইভাবে বিরোধীদের বঞ্চনা আসলে জনগণের বঞ্চনা।নবান্নে এসে আজ আমরা বলে গেলাম, লড়াই হবে। এক ইঞ্চিও জায়গা আপনাকে আমরা ছাড়ব না । আপনাকে তাড়া করে বেড়াব আমরা । আপনি দিল্লিতে গিয়ে নাটক করবেন, ভাবছেন ছাড়া পেয়ে যাবেন । এমনটা হবে না ।”