নিউজ ডেস্ক : ৭ অক্টোবর : লুচি আর আলুর দম কে না ভালবাসে? মুকুল রায়কে সেই লুচি আর আলুর দম খাওয়ানোয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। সব্যসাচী দত্তের সেই লুচি আলু দম প্রসঙ্গে হয়ত এখনও টাটকা৷ এনিয়ে জল্পনা তৈরি হয়ে বিজেপিতে যোগ নিয়েও।
অবশেষে দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে লাগাতার বিষোদগার করে ২০১৯ সালের পয়লা অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে নেতাজী ইণ্ডোর স্টেডিয়ামে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সব্যসাচী দত্ত৷ উল্লেখ্য,লোকসভা ভোটের মুখে সল্টলেকে সব্যসাচীর বাড়িতে মুকুল রায়ের লুচি-আলুর দম খাওয়া নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় বঙ্গ রাজনীতিতে। মুকুল-সব্যসাচীর ঘনিষ্ঠতা একেবারেই ভাল চোখে দেখেননি তৃণমূল নেতৃত্বে। তখন থেকেই তৃণমূল-সব্যসাচীর সম্পর্কে ফাটলের সূত্রপাত। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’বছর। সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটেছে বিজেপির। আর তারপর থেকেই রাজ্যে গেরুয়া শিবিরে ভাঙ্গন অব্যাহত। একের পর এক নেতা ও বিধায়ক যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে৷ ফলে বিজেপি ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হলেও প্রকাশ্যে বলছে না। আর রাজনৈতিক মহলের অনুমান সেকারণেই দিন কয়েক আগে বদল হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতিও। বেশকিছু দিন ধরর সব্যসাচী যে তৃণমূলে ফিরতে পারেন তা নিয়ে জল্পনা জোরালো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরেই অবশ্য তা স্পষ্ট হয়ে যায়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব্যসাচীকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিধায়ক পদে শপথ নিতে এসেছিলেন মমতা। শপথের আগেই তিনি ঘনিষ্ঠমহলে বলেন, ‘‘আমি আজই ওকে নিয়ে নিতে বলেছি।’’ মমতার সেই ঘোষণার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সব্যসাচী বিধানসভায় আসেন। বেলা ৩টে নাগাদ তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক পদে ছিলেন সব্যসাচী। একই সঙ্গে আসন্ন খড়দহের উপনির্বাচনে তাঁকে ‘ইনচার্জ’ করেছিল গেরুয়া শিবির। ফলে এই দলবদলে অনেকটাই অস্বস্তিতে বিজেপি। যদিও বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘উনি যেচেই বিজেপি-তে এসেছিলেন। আমরা ওকে ডাকি নি৷ এতে আমাদের দলের কোনো ক্ষতি হবে না।