ডিজিটাল ডেস্ক : সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্তে শুক্রবার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি), মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গ্রেপ্তার করলো। অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর নির্দেশেই মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করেছেন বলে জেরায় স্বীকার করেছে শৌভিক। এছাড়াও, শৌভিক দাবি করেছেন যে রিয়া তাকে এবং সুশান্তের বাড়ির প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে মাদক সেবন করতে বলেছিল এবং এনসিবি সূত্রে জানা গেছে যে তিনি আরও বেশ কয়েকটি মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। এদিন সকাল থেকেই মিরান্ডা ও শৌভিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেই বিভিন্ন মাদক পাচারকারী গ্রুপের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর তাঁর ভাই শৌভিকও সেই মাদক কারবারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আসছিলেন।
মাদক কাণ্ডে বুধবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো জাইদ ভিলাত্রা নামে এক পাচারকারীকে। আব্বাস লাখানি এবং করণ আরোরা নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাদের সূত্র ধরেই জাইদের সন্ধান মেলে। এই জাইদই সুশান্ত এবং রিয়াকে মাদক পাচার করত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এই সূত্রে বিলিয়ার্ড খেলোয়াড় ঋষভ ঠক্করকে সন্দেহ করা হচ্ছে। মঙ্গলবারই তাঁকে প্রায় আট ঘণ্টা জেরা করে ইডি।
মাদক পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং মা সন্ধ্যাকেও মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সৌভিকের সঙ্গে ধৃত জাইদের কথোপকথনের তথ্য পাওয়া গেছে। এদিনই মুম্বই থেকে আব্দুল বসিত পরিহার নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বান্দ্রার একটি ফুটবল ক্লাবে তারা দেখাও করেছিলো।
এমনকি সুশান্তের প্রাক্তন হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার যোগ ছিল তার সাথে। মিরান্ডার সূত্র ধরেই সুশান্তের কাছে মাদক পৌঁছে দেওয়া হত বলে তদন্তকারীরা সন্দেহ করছে। যদিও সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যর জট এখনও কাটেনি।