নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ০৬ নভেম্বর : কুলিক নদীর ভাঙনে আতংকে কাঁপছেন রায়গঞ্জ ব্লকের সুভাষগঞ্জ সংলগ্ন উত্তর পালপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। একাধিকবার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। স্বাভাবিক কারণেই এবারে নদী ভাঙন সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
প্রতিবছর বর্ষাকালে জল বাড়লেই কুলিক নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার নেয় রায়গঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা৷ রায়গঞ্জ ব্লকের সুভাষগঞ্জ উত্তর পালপাড়া, হালালপুর, খাঁড়ি সরিয়াবাঁধ, শিয়ালতোড়, কুমারজোল, অন্ততপুর, দুবদুয়ার, খিয়াবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন এক জলন্ত ইস্যু। রায়গঞ্জে কুলিক ছাড়াও রয়েছে আগ্রাসী নাগর নদী। ভাঙনের জেরে অনেক ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে ওই সমস্ত এলাকাতে। রায়গঞ্জ ব্লকের সুভাষগঞ্জ উত্তর পালপাড়াতেও ইতিমধ্যেই ৩০ থেকে ৩৫ টি বাড়ি ও জমি কুলিক নদীতে ভাঙনে তলিয়ে গেছে৷ সামনের বছর বর্ষা আবার আসবে৷ তাই এই শুখা মরসুমে নদী ভাঙ্গন কাজ শুরু করার দাবি তুলেছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা৷ নইলে আগামী বছর বর্ষাতে ভাঙ্গনে ফের বসতভিটে নদীতে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা৷ তাঁদের অভিযোগ,’ নদী ভাঙন রোধে কোন কাজ হয়নি এলাকাতে। সামনের বছরও নদী ভাঙন ভয়ংকর রুপ নিতে পারে। তাই তার আগে ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করা উচিত প্রশাসনের। এদিকে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মানস ঘোষ বলেন রায়গঞ্জ ব্লকের ৫ থেকে ৬ টি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম নদী ভাঙ্গনের জেরে প্রবল সমস্যা তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলা পরিষদের পক্ষে নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয়। এব্যাপারে সেচ দফতরকে উদ্যোগ নিতে হবে। গোটা বিষয়টি সেচ দফতরকে জানানো হবে৷