নিউজ ডেস্ক, ১৫ নভেম্বর : অ্যাসিডিটির সমস্যা, পাথর খেয়ে দেখতে পারেন। অবাক হচ্ছেন! হিমাচল প্রদেশের প্রত্যন্ত স্পিতি এলাকার অধিবাসীরা এই বিশেষ ধরনের পাথর খান।ভারত এবং তিব্বতের মধ্যবর্তী দুর্গম এই এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা খুবই করুণ। পার্শ্ববর্তী কোনও পাহাড়ি শহরে যেতে হলে পায়ে হেঁটেই পৌঁছতে হয় তাঁদের।পাহাড়ি এই মানুষগুলোর জীবনযাপনও অত্যন্ত সরল।
কোনও অসুখ-বিসুখ হলে তাঁরা বাজার থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ার বদলে পাহাড়ী এলাকায় জন্মানো ভেষজ উদ্ভিদ খেয়ে নেন। তবে বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসট্রিক-এর সমস্যা হলে তাঁরা একধরনের পাথর খান। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এই পাথরটি চুগ ঝি নামেই পরিচিত।উজ্জ্বল সাদা রঙের এই পাথর আবার দুরকমের হয়।একটিকে বলা হয় ফো চোং এবং অন্যটি হল মং চং।এরমধ্য মং চং হল মহিলা পাথর ও ফো চোং কে বলা হয় পুরুষ পাথর। তবে শুধু শুধু এই পাথর খেলেই হবে না।এই ওষুধ তৈরিতে মানা হয় নানান জটিল পদ্ধতি। সংগ্রহ করা পাথরগুলো প্রথমে গুড়ো করে নেওয়া হয়।এর সঙ্গে মেশানো হয় প্রয়োজন মতো নানা ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ। সব ভেষজ পদার্থ ও পাথর একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় এই ওষুধ। বদহজম, অ্যাসিডিটিতে যাঁরা ভুগছেন তাঁরা দিনে দু’বার করে এক চামচের এক চতুর্থাংশ ওষুধ দুসপ্তাহ ধরে খেলে সুস্থ হয়ে উঠবেন।