নিজস্ব সংবাদদাতা , ইটাহার , ২৯ নভেম্বর : গ্রামের পরম্পরা এবং রীতিনীতি মেনে প্রাচীনকাল থেকেই কালি পুজোর আয়োজন করে ইটাহার থানার মারনাই অঞ্চলের মারনাই গ্রামের বাসিন্দারা। শনিবার সন্ধ্যায় মনোহর কালি মায়ের প্রতিমা এলাকার ভারত সেবাশ্রম থেকে শোভাযাত্রা সহকারে মন্দির প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। এরপর রাতে নিয়মরীতি মেনে অনুষ্ঠিত হয় পুজো। পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে এলাকায় বাউল উৎসবের আয়োজন করা হয় পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে। এদিন পুজোর সূচনা ও বাউল উৎসবের সূচনা করেন ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য্য।
বিধায়ক ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষি রবিদাস দাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। পাশাপাশি এই পুজোর পর থেকেই অগ্রায়ান মাসে নতুন ধানে বাড়ি বাড়ি নবান্নের আয়োজন শুরু করল মারনাই অঞ্চলের মারনাই গ্রামের বাসিন্দারা। শনিবার সন্ধ্যা রাতে মারনাই গ্রামে অবস্থিত মা কালির মন্দির যা মনোহর কালি নামে পূজিত করে আসছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। ফলে প্রতিবছরের মতো এবারও গ্রামের মন্দির প্রাঙ্গণে পুজোর আয়োজন শুরু করে তারা। কালি মায়ের প্রতিমা এলাকার ভারত সেবাশ্রম থেকে শোভাযাত্রা সহকারে ঢাক ঢোল বাজিয়ে হাজার হাজার মানুষেরা মন্দিরের পথে যায়। সন্ধ্যা থেকে পুজোর আয়োজন শুরু হলেও গভীর রাতে মনোহর কালির পূজা শুরু হয়। পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে এলাকায় বাউল উৎসবের আয়োজন করা হয় পুজো কমিটির তরফে। এদিন সন্ধ্যায় পুজোর এবং বাউল উৎসবের সূচনা করেন ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য্য। বিধায়ক ছাড়াও এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষী রবিদাস দাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। পুজো কমিটির সদস্য অক্ষয় পাল বলেন, আমাদের গ্রামের এই কালি মা যা মনোহর কালি নামে পুজো করা হয়। কয়েকশো বছরের বংশ পরম্পরায় মায়ের পূজা দিয়ে বাড়ি বাড়ি নতুন ধানে নবান্নের আয়োজন করা হয়ে থাকে। শনিবার পুজো হলেও রবিবার থেকে বাড়ি নবান্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে যা পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে হয়ে আসছে।