নিজস্ব সংবাদদাতা , করণদিঘি , ১০ অক্টোবর : করোনার থাবা এবারে মৃৎশিল্পীদের মধ্যেও। ফলে চরম আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে তাদের। মিলছে না প্রতিমার বরাত। পাওয়া যাচ্ছে না মূর্তির উপযুক্ত দামও। পুজোর হাতে গোনা কদিন বাকি থাকতে এমনই আক্ষেপের সুরে নেমে এলো উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি ব্লকের মৃৎশিল্পীদের গলা থেকে।
উল্লেখ্য এবছর করোনা অতিমারি ভয়ংকরভাবে প্রভাব ফেলেছে জনমানসে। সারা বিশ্বের পাশাপাশি আর্থিক মন্দার ছায়া নেমে এসেছে ভারতবর্ষেও। দেশের প্রতিটিস্তরের মানুষ এই মন্দার জেরে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন। কিভাবে দৈনন্দিন জীবন চলবে, সংসার চলবে তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না তারা। করণদিঘি ব্লকের তিনটি স্থান কুমোরটুলি বলে পরিচিত। পালপাড়া, পিছলা এবং ইটালবাড়িতে বেশকিছু মৃৎশিল্পী রয়েছেন। তারা বংশ পম্পপরায় এই পেশার সাথে যুক্ত। মৃৎশিল্পীদের বক্তব্য করোনা অতিমারি সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে তাঁদের। তাই পুজোর অনেকদিন আগে থেকেই প্রতিমার বরাতের জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। কিন্তু আশানুরূপ প্রতিমার বরাত মেলেনি এবারে। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিমার বানানোর বরাত পেয়েছেন ইটালবাড়ির মৃৎশিল্পী রতন পাল। প্রতিমার আয়োতন ছোটো হলেও যেভাবে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তাঁরা। কারণ প্রতিমার তৈরির নানা উপকরণ খড়, মাটি, রঙ, তুলি সহ প্রতিমার অঙ্গ সজ্জার সামগ্রীর দাম বেড়েছে। ফলে লাভের মুখ আদৌ দেখতে পারবেন কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মৃৎশিল্পীরা।